মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা
- নাজিম উদ্দিন মুরাদনগর (কুমিল্লা)
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। তাই কৃষি বিভাগ সাধারণ কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুব্ধ করতে উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাঁচ হেক্টর জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠেবেন বলে কৃষি অধিদফতর মনে করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার বাবুটিপাড়া, পূর্বধইর পশ্চিম, আন্দিকোট, কামাল্লা, যাত্রাপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩০ জন কৃষককে ২ কেজি করে বীজ আর ২০ কেজি করে সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের পাঁচ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড হাইসোন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা যায়।
বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদন নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম নুর আলম বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখীর রোগবালাই অনেক কম। সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, সূর্যমুখীর গুণাগুণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। কৃষি প্রণোদনার আওতায় আমরা বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করেছি। সেই সাথে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরিষা-সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখীর আবাদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা