হোসেনপুরে ঈদ ও নববর্ষকে ঘিরে সুঁই কারিগরদের ব্যস্ততা
- জাহাঙ্গীর আলম, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সুঁই সুতায় দক্ষ নারী কারিগররা। কেননা ঈদ ও বৈশাখ উপলক্ষে দোকানপাট, শপিং মল, বিপণী বিতানে সুঁই সুতার বাহারী নকশার শাড়ি কাপড়ের কদর বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তারা আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের পুঁতি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন রঙের শাড়িতে নকশার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারী ও শিশু কর্মীরা একরকম নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার কুড়িমারা, শাহেদল, রহিমপুর, আশুতিয়া ও দ্বীপেশ্বর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এ পেশায় যুক্ত প্রতিটি বাড়িতেই এখন শাড়িতে পুঁতি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন নকশার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী ও শিশু কর্মীরা।
এ সময় উপজেলার খ্যাতিমান ও সুপরিচিত নারী উদ্যোক্তা এবং সুঁই সুতার কারিগর রহিমা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাড়িতে নকশার কাজ করে তিনিসহ অনেকেই ছেলেমেয়ের পড়ালেখা ও সংসারের ব্যয় বহন করতে পারছেন। অন্যান্য বারের মতো এবরো ঈদ ও বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে তাদের ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
কুড়িমারা গ্রামের শেফালী বেগমসহ অনেকেই বলেন, আমাদের মতো সুঁই সুতার কারিগররা সরকারি প্রণোদনা পেলে এ খাতে আরো বেশি দরিদ্র নারী স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এজন্য তিনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলার রামপুরের শাড়ি ব্যবসায়ী হিরন মিয়া জানান, এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে অভিজাত শপিংমল, দোকানপাট ও বিপণীবিতানগুলোর মালিকরা সুঁই সুতার কারিগরদের কাছে অর্ডার নিয়ে আসেন। তারা ঈদ ও বাংলা নববর্ষের সময় শাড়ি উৎপাদন কাজে মফস্বল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন।
হোসেনপুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রোওশনারা রুনু জানান, সুঁই সুতায় দক্ষ নারী কারিগরদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা