লংগদুতে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ঝাড়ুফুল
- বিপ্লব ইসলাম লংগদু (রাঙ্গামাটি)
- ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ফোটে উলুফুল। ভিন্নধর্মী এ ফুল ঘরে সাজিয়ে রাখা হয় না। খোঁপাতেও এর হয় না ঠাঁই। সাধারণত এ উলুফুল দিয়ে বানানো হয় ঝাড়ু। সেই ঝাড়ু বাজারে বিক্রি করেন স্থানীয়রা। এই ফুলঝাড়– বানানো হওয়ায় একে ঝাড়ুফুল বলা হয়। মাঘে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি সড়কের যেদিকে চোখ যায়, শুধু ঝাড়ুফুলের সমারোহ। এ ফুল থাকে চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে ফোটা এ ফুলের ১০ থেকে ১৫টি দিয়ে আঁটি বেঁধে ঝাড়ু বানানো হয়। সেই ঝাড়ু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকায়। শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, সারা দেশে রয়েছে এ ঝাড়ুর চাহিদা। তাই অনেকে বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে নেন ঝাড়ু তৈরির কাজ।
ঝাড়ুফুল বাগিচার মালিক রুস্তম আলী রূপচান জানান, গত বছর ঝাড়ু বিক্রি করে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তার আশা, এ বছর ঝাড়ু থেকে আয় হবে প্রায় লাখ টাকা।
রূপচানের ইচ্ছা বাণিজ্যিকভাবে ঝাড়ুফুলের বাগান করার। ঝাড়ুফুলের চাষি নিপন চাকমা বলেন, এটা পাহাড়ের প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে ওঠায় এর জন্য অন্যান্য চাষাবাদের মতো ঝামেলা পোহাতে হয় না এবং মুনাফাও ভালো পাওয়া যায়।
ঝাড়ুফুলের বাগান মালিক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ ঝাড়ুফুলের বাগানটি দেখতে বেশ সুন্দর হয় শুধু গরু আর আগুন ছাড়া এ বাগানের ক্ষতি অন্য পোকামাকড় করতে পারে না। যার কারণে বিষ কিংবা সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। করতে হয় না অন্যান্য ফসল ফলানোর মতো রক্ষণাবেক্ষণ।
অন্য এক ঝাড়ুফুলের বাগান মালিক সবুজ মিঞা বলেন, ঝাড়ুফুল উঁচু টিলায় হয়। প্রতি বছর রোপণ করার ঝামেলা নেই। কেটে নেয়া ঝাড়ু কিংবা উলুফুলের গোড়া হতে সে নিজেই প্রতি বছর বেড়ে উঠে। কাজেই এ বছর ভালো মুনাফা পেলে আগামী বছর ব্যাপকভাবে সম্পূর্ণ টিলায় এর গোড়া ছড়িয়ে দিবো।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাহাড়ে ঝাড়–ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এতে কম খরচে সফলতার মুখ দেখছেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা