১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


চান্দিনায় লোকসান মাথায় নিয়ে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত আড়ৎদাররা

-

চামড়া নিয়ে দেশজুড়ে বেশ হতাশা ও লোকসানের মুখে পড়েছেন মওসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। নিশ্চিত লোকসান জেনেও মূল্য বৃদ্ধির আশায় পর্যাপ্ত চামড়া সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার চামড়ার আড়ৎদাররা।
কোরবানি ঈদের রাত থেকে শুরু করে গত শুক্রবার পর্যন্ত চামড়া সংরক্ষণে লবণ মাখা পানি সরানো, উল্টানো থেকে শুরু করে নানা রকম প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন আড়ৎ মালিক ও শ্রমিকেরা।
কুমিল্লায় চামড়া সংরক্ষণে সরকারি কোনো ঠিকানা নেই। নেই কোনো সংগঠন। তাই আড়ৎদাররা যার যার সুবিধামতো চামড়া সংরক্ষণ করছেন। তবে তারা ট্যানারির বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে চামড়া সংগ্রহ করায় এবং লবণের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
জেলার সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহকারী আড়ৎদার রয়েছে চান্দিনা ও দাউদকান্দি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সব্দলপুর-ইলিয়টগঞ্জে। ওই এলাকায় অন্তত ডজনখানেক আড়ৎদারকে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। যাদের অধিকাংশই চান্দিনার বাসিন্দা।
সব্দলপুর-ইলিয়টগঞ্জ চামড়া আড়তে ২৫-৩০ হাজার চামড়া রয়েছে। প্রায় সারা বছরই ওই আড়ৎদাররা চামড়া সংরক্ষণ করে আসছেন। কোরবানি ঈদ মওসুমে প্রতিটি আড়তে সর্বনি¤œ ২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেন তারা।
গত মঙ্গলবার সকালে ওই চামড়া আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত। কেউ চামড়া থেকে গোশত ছাড়াচ্ছেন, কেউ বা উচ্ছিষ্ট অংশ কাটছেন আবার কেউ বা লবণ মাখায় ব্যস্ত।
গত শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তের শ্রমিকরা কেউ চামড়ার স্তূপে পানি সরানোর কাজ করছে, আবার কেউ বা চামড়ার স্তূপ উল্টে-পাল্টে দেয়ার কাজ করছে। চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখতে তাদের ওই প্রক্রিয়া বলে জানান আড়ৎদাররা।
আড়ৎদার আকতার হোসেন জানান, এ বছর যে ট্যানারি মালিকরা চামড়া নিবে না তা আমরা আগেই আন্দাজ করেছি। সেই মোতাবেক আমরা চামড়া কিনেছি। গরীব হক কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে কেউ কেউ ফেলেও দিয়েছেন। আবার মওসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২ শ’ থেকে ৪ শ’ টাকায় চামড়া কিনেছেন।
আমাদের নির্দিষ্ট কিছু লোকজন আছে তারাও একইভাবে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। যেহেতু ট্যানারি মালিকরা চামড়া নিয়ে তালবাহানা করছে সেহেতু আমরাও চামড়া সংরক্ষণে পর্যন্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। শনিবার থেকে ট্যানারি মালিকরা চামড়া সংরক্ষণে করবে বলে শোনা যাচ্ছে। তারা যদি চামড়া সংরক্ষণ শুরু না করেন তারপরও আমরা হাল ছাড়ব না। লোকসান যদি দিতেই হয় সবটুকুই দিবো, শেষ দেখে ছাড়ব।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী

সকল