২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সোনারগাঁওয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতুতে যানবাহন চলাচল

-

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার ও সাহাপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় ঐতিহাসিক গ্রান্ডট্যাংক রোডে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতুতে চলাচল করছে যানবাহান। দীর্ঘ দিন ধরে এ সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভাঙা সেতুতে চলাচল করতে গিয়ে এক বছরে ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সেতুর একপ্রান্ত ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে সেতুটি। সেতুটি ধসে পড়লে ওই এলাকায় প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এলাকাবাসী দ্রুত সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার ও সোনারগাঁও পৌরসভার সীমান্তবর্তী সাহাপুর খালে সেতুটির অবস্থান। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সম্প্রতি বৈদ্যেরবাজার এলাকায় দু’টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। বৈদ্যেরবাজার এলাকায় একটি বড় মাছের আড়ত রয়েছে। সেখানে বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ি গড়ে ওঠেছে। তা ছাড়া সোনারগাঁও উপজেলার ভাটিবন্দর, সাহাপুর, বৈদ্যেরবাজার, নুনেরটেক, হাড়িয়া, হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া, হাড়িয়া বৈদ্যেরপাড়া, গোয়ালপাড়া উদ্ভবগঞ্জ, ভট্টপুর, রঘুভাঙা ও মেঘনা উপজেলার চালিভাঙা, ফরাজিকান্দি, নলচর, পুরানগাঁও, মুন্সিরগাঁওসহ প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। এ পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটির দুই পাশের রেলিং দীর্ঘ দিন ধরে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সেতুর পশ্চিমপাড়ে সেতু ভেঙে পড়েছে। যেকোনো সময় এ সেতুটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি দ্রুত ভেঙে নতুন একটি সেতু নির্মাণের।
সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র দাস ও সাধুরাম দাস জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটি বেহাল দশায় রয়েছে। এ সেতু দিয়ে প্রায় ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। সেতুটি ভেঙে গেলে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসায় বাণিজ্যের ব্যাঘাত ঘটবে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ নিতে প্রশাসনের কাজে জোর দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ ফালান জানান, ঐতিহাসিক গ্রান্ডট্যাংক রোডের সাহাপুর এলাকায় সেতুটির নতুন করে গোরার মাটি সরে গিয়ে সেতুটির একাংশ ভেঙে গেছে। এ সেতুটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যেকোনো সময় ধসে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছাড়া বৈদ্যেরবাজার এলাকায় বিশাল মাছের আড়ত রয়েছে। ব্রিজটি ভেঙে গেলে ঢাকায় মাছ সরবরাহের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রকৌশলী আলী হায়দার খাঁন জানান, সেতুটি সড়ক ও জনপদের আওতায় থাকায় নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ সেতু নির্মাণের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণ হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টেন্ডারের অর্থ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত ড. মনিরুলের নারীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধির রাইসির স্মরণে জাতিসঙ্ঘে এক মিনিট নীরবতা পালন ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বড় ভাই বিপিএলে, ছোট ভাই বিসিএলে নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ ধ্বংস করতে ফার্মা সল্যুশনসকে হাইকোর্টের নির্দেশ চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পায়েল বহিষ্কার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার ‘বাবে কাবা’ নামের উপহারের দামি কলমটি তোষাখানায় দিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি লোকসভা ভোট : রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে : শিল্পমন্ত্রী

সকল