১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ভেঙে হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী!

যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ভেঙে হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী! - ছবি : সংগৃহীত

চীনের মদতে যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ভেঙে বেসামরিক এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে সামরিক জান্ত সরকারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর যৌথমঞ্চ ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অন্যতম শরিক আরাকান আর্মি (এএ) এই অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, আকাশপথে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে অসমারিক অঞ্চলে।

ঘটনাচক্রে, চীনের মধ্যস্থতাতেই জানুয়ারির শেষপর্বে বিদ্রোহী জোট এবং জান্তা ফৌজের যুদ্ধবিরতি সমঝোতা হয়েছিল। ওই সমঝোতা অনুযায়ী পশ্চিম মিয়ানমারের জনজাতি অধ্যুষিত শান প্রদেশটি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। কিন্তু পরে পশ্চিম মিয়ানমারের আর এক প্রদেশ রাখাইনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আরাকান আর্মির অভিযোগ, জান্তা সেনাবাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করেছে চীন সীমান্ত ঘেঁষা শান প্রদেশে। সেখানকার জনজাতি বাসিন্দাদের খাদ্য এবং অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহেও বাধা দেয়া হচ্ছে!

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ ২০২৩ সালের নভেম্বরের গোড়া থেকে ওই দেশের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’।

পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয়, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং ‘চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স’ (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ)-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। জান্তা-বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র মদতপুষ্ট সশস্ত্র গ্রুপ ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)-ও বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিয়েছে। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই ওই দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা জান্তা বাহিনীর হাতছাড়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement