দক্ষিণ চীন সাগরে আচরণবিধি আরোপ করতে চায় আসিয়ান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জুন ২০২৪, ১০:১২
তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে সঙ্ঘাতের ঝুঁকি প্রশমিত করতে আচরণ বিধি নির্ধারণ করার বিষয়ে চীনের সাথে সমঝোতা ও আলোচনায় গতি আনবে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)। ২০২৬ সালের মধ্যে আলোচনা শেষ করতে পারবে বলে আশা করছে এই জোট।
আসিয়ানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন ।
তবে এই আচরণ বিধি আইনত বাধ্যতামূলক হবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
আসিয়ানের মহাসচিব কাও কিম হর্ন বুধবার এক গোলটেবিল বৈঠকে সংবাদদাতাদের বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে যাব। আমরা এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারি না যে উত্তেজনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে।’
চলতি সপ্তাহে কাও ওয়াশিংটনে রয়েছেন। এই আঞ্চলিক জোট ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব তুলে ধরতে ও উন্নীত করতে এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।
ফিলিপাইন চীনের সাথে সংলাপ শুরু করতে চায়
স্টিমসন সেন্টারে বুধবার এক সেমিনার চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল আসিয়ানকে ‘স্পষ্টত ফিলিপাইনের পানিসীমায় প্ররোচনা-সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে একটি দ্ব্যর্থহীন বার্তা পাঠাতে’ আহ্বান জানান।
চীনের সেকেন্ড টমাস বালুচর (রেন আই জিয়াও নামেও পরিচিত) সংলগ্ন পানিসীমার কাছে সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতের কারণে ফিলিপাইনস ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের আবহে এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
ক্যাম্পবেল আরো বলেন, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র কোনো সঙ্কট চান না। তবে তিনি বেইজিংয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা প্রত্যাশা করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাইছি, চীন তাদের উস্কানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করুক।’
এদিকে, মিয়ানমারের সঙ্ঘাত নিয়ে আসিয়ান জোট দ্বিধাবিভক্ত হয়ে রয়েছে। এই সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে তিন বছরের বেশি সময় আগে, যখন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল জান্তা।
লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো আসিয়ানের কর্তৃত্ববাদী সদস্যরা জান্তাকে খানিকটা হলেও সমর্থন করে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য সদস্যের সাথে মিয়ানমারের প্রতিরোধ বাহিনীর সামান্য হলেও যোগাযোগ রয়েছে।
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ২০১৭ সাল থেকে তারা বারবার শুনছেন যে একটা আদর্শ আচরণ বিধি আসতে চলেছে। কিন্তু চীনের সাথে প্রকৃতপক্ষে মতভেদ রয়েছে এমন দাবিদারদের কাছ থেকে তা কখনো আসেনি।
আরেকটা জরুরি বিষয় হলো, আসিয়ান দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়েছে যে আদর্শ আচরণ বিধি আইনত বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। কিন্তু চীন কখনো এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে গ্রহণ করেনি।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা