১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইরান ইউরেনিয়াম পরিশোধন কর্মসূচি বাড়াচ্ছে, বলছেন কূটনীতিকরা

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

জাতিসঙ্ঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি বোর্ড গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছিল। তবে, বুধবার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, তেহরানের পাল্টা জবাবে তাদের দু’টি ভূগর্ভস্থ অঞ্চলে ইউরেনিয়ামের পরিশোধন প্রক্রিয়া সম্প্রসারিত করেছে।

তারা আরো যোগ করেন, অনেকে যতটা আশঙ্কা করেছিল তত বেশি নয় এই বৃদ্ধি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ৩৫টি দেশের বোর্ড অফ গভর্নরসের আনা এই ধরনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ইরান কড়া অবস্থান নিয়েছে এবং ১৮ মাস আগের এক প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তারা ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় উন্নীত করেছে (যা অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য প্রায় উপযোগী) দ্বিতীয় এক স্থানে। পাশাপাশি ওই দেশ ঘোষণা করেছে যে, এই সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আরো ব্যাপকভাবে বাড়ানো হবে।

পাঁচজন কূটনীতিক বলেন, ইরান এবার তাদের ভূগর্ভস্থ সমৃদ্ধকরণ স্থলে সেন্ট্রিফিউজের আরো গুচ্ছ বা ক্যাসকেড প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে। এই যন্ত্রগুলো ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।

এই কূটনীতিকদের তিনজন বলেন, ইরানের অগ্রগতির দিকে নজরদারি করা আইএইএ পরিদর্শকরা সদস্য দেশগুলোর কাছে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন পেশ করার পরিকল্পনা করেন।

ইরানের কর্মযজ্ঞ বৃদ্ধির মাত্রা প্রসঙ্গে ভিয়েনাভিত্তিক এক কূটনীতিক বলেন, ‘আমি যতটা ধারণা করেছিলাম ততটা নয়।’

গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দোল্লাহিয়ার মৃত্যু ও ২৮ জুনে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন? আমি জানি না। হয়ত তারা নতুন সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে।’

আইএইএ বোর্ড এক সপ্তাহ আগে একটি প্রস্তাব করেছে যাতে ইরানকে আইএইএ-র সাথে সহযোগিতা বাড়াতে এবং পরিদর্শকদের ওপর সম্প্রতি চাপানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। তেহরান পরমাণু কর্মসূচি বৃদ্ধির মাধ্যমে এর প্রত্যুত্তর দেবে বলে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ওই বোর্ড পদক্ষেপ নিয়েছিল। কেবলমাত্র রাশিয়া ও চীন বিরোধিতা করেছিল।

কতগুলো বা কোন ধরনের সেন্ট্রিফিউজ যোগ করা হচ্ছে বা কোন মাত্রায় তা করা হচ্ছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি কূটনীতিকরা, যদিও একজন কূটনীতিক বলেন, ইরান এখনই ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়াবে না। ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধি বা মান ৯০ শতাংশ হলে তা অস্ত্রে ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে।

কূটনীতিকরা বলেন, ইরান আসলে যা করেছে সে সম্পর্কে আইএইএ যা বলেছে তা দেখার জন্য তারা অপেক্ষা করবেন, তবে ইরানের পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা অবগত।

একজন কূটনীতিক বলেন, এই পদক্ষেপ ‘প্রত্যাশার একেবারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আমরা বেশ নিশ্চিত যে, কিছু কাজ তারা যেকোনো উপায়ে করতে চলেছে।’ এর অর্থ হলো, প্রস্তাব ছাড়াও এটা ঘটতো।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement
ঘড়ির সময় বদলাতে চান না ট্রাম্প ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ : ওয়েইসি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বেক্সিমকোর জন্য ১৮০ কোটি টাকা ছাড় করছে জনতা ব্যাংক বেকারত্বহীন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে জামায়াত : ডা: শফিক

সকল