১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তাইওয়ান ঘিরে কেন আবার চীনের সামরিক মহড়া

তাইওয়ান ঘিরে কেন আবার চীনের সামরিক মহড়া - সংগৃহীত

তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া শুক্রবারেও চলছে। চীনের নৌ ও বিমানবাহিনী মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

চীন জানিয়েছে, স্বাধীনতার নামে তাইওয়ানে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ কর্যকলাপ চলছে। তাই তাইওয়ানকে ‘শাস্তি’ দেয়ার জন্যই মহড়া চালানো হচ্ছে। ক্ষমতা দখল করে নেয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দক্ষতার বিষয়টি মহড়ায় দেখা হচ্ছে।

চীনের সামরিক মুখপাত্র লি সি জানান, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। তাই কঠোর শাস্তি হিসেবে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উস্কানির বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তাও দেয়া হচ্ছে।

তাইওয়ানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং গত সোমবার শপথ নেন। তারপরই তিনি বলেন, চীন যেন সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি দেখানো বন্ধ করে। তারপরেই চীন এভাবে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে।

তাইওয়ান জানায়, চীনের ১২টি যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। চীনের বিমান আকাশে চক্কর কাটছে।

চীনের বক্তব্য
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে।

চীনের বার্তাসংস্থা শিনহুয়া ও সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলিতে এই মহড়ার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, লাই বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ করছেন।

চীন জানায়, লাই হলেন ভয়ঙ্কর বিচ্ছিন্নতাবাদী। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কঠোর শাস্তি হবে।

তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া
তাইওয়ান এই মহড়ার তীব্র নিন্দা করেছে। তারা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট লাই জানান, তাইওয়ানকে রক্ষার দরকার হলে তিনি প্রথম সারিতে গিয়ে দাঁড়াবেন।

সোমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভাষণে লাই বলেন, তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। তিনি চীনকে সামরিক শক্তি দেখানো বন্ধ করতে বলেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তাইওয়ানের ওপর চাপ দিতে চীন তাদের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

জাতিসঙ্ঘ জানায়, সব পক্ষই যেন সংযত থাকে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement