আফগানিস্তানে নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মে ২০২৪, ১৭:৪২
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘোর প্রদেশের এ দুর্যোগে ধ্বংস হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি।
শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট কয়েক সপ্তাহের বন্যায় আফগানিস্তানজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মারা গেছে কয়েক হাজার মানুষ। আহতও হয়েছে অনেকে। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
নতুন করে ঘোর প্রদেশে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মুখপাত্র আব্দুল রহমান বদরি। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ এ বন্যায় মারা গেছে কয়েক হাজার গবাদিপশুও। ধ্বংস হয়ে গেছে কয়েক শ’ হেক্টর ফসলি জমি, কয়েক শ’ সেতু-কালভার্ট এবং হাজারো গাছপালা।
ঘোর প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র আব্দুল ওয়াহিদ হামাস জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
ঘোরের তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলবী আব্দুল হাই জাঈম জানিয়েছেন, সর্বশেষ শুক্রবার থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। ভেঙে গেছে এলাকার অনেক প্রধান সড়ক।
তিনি বলেন, ২ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আংশিক ধ্বংস হয়েছে ৪ হাজারের মতো এবং প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ কোহ’র ২ সহস্রাধিক দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে দেশটির তালেবান সরকারের শরণার্থী মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ৩১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১ হাজার ৬০০’র বেশি মানুষ।
আফগানিস্তান প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্যতম ক্ষেত্র। জাতিসঙ্ঘ এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, বন্যাউপদ্রুত এলাকায় জীবনধারণের কোনো অবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঘলান প্রদেশ।
সূত্র : আলজাজিরা