রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রুশ প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি চীনের সমর্থনের ব্যাপারে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন। তিনি চীনা নেতাকে সতর্ক করেন যে এ কারণে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
বেইজিং-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং সিনিয়র চীনা নেতাদের সাথে বৈঠকের অল্প পরেই ব্লিংকেন এই মন্তব্য করেন। সে সময় তারা দুই দেশের মধ্যেকার বিতর্কিত অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
ব্লিংকেন বলেন, তিনি চীনের মাইক্রোচিপ, যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য যেসব জিনিস রাশিয়া তাদের অস্ত্র তৈরি করতে ব্যবহার করছে এবং ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে প্রয়োগ করছে, সেসব নিয়ে কথা বলেছেন।
ব্লিংকেন বলেন, 'আমি শি-কে বলেছি, চীন যদি এই সমস্যা মোকাবেলা না করে, তাহলে আমরা করবো।'
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন সম্ভাব্য পদক্ষেপ প্রকাশ না করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ১০০-এর বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীন বলছে, তারা রাশিয়ার সাথে একটি প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেন করেছে। শি শুক্রবার তার প্রকাশ্য বক্তব্যে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু উল্লেখ না করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ব্লিংকেনের চীন সফর নিয়ে সংশয়, নিন্দার সাথে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের আগমনের জন্য লাল গালিচা অভ্যর্থনার অনুপস্থিতি। এটি বেইজিং-এর দিক থেকে খুব সূক্ষ্ণ বার্তা নয়।
ব্লিংকেন সাংহাইয়ে তার তিন দিনের চীন সফর শুরু করার পর অনলাইনে মন্তব্যকারী এবং বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, চীন বিশিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য লাল গালিচা বিছানোর প্রচলিত রীতি বাদ দিয়েছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গেটস্টোন ইন্সটিটিউটের ডিস্টিংগুইশড সিনিয়র ফেলো গর্ডন চ্যাং হু শিজিনের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, '#Blinken #Shanghai বিমান থেকে নামার আগে #China তাকে অপমান করেছেন।'
লর্ড বেবো নামে এক্স-এর একজন ইউজার নিজেকে মূলধারার গণমাধ্যম বিরোধী বলে দাবি করেন। তিনি পোস্ট করেছেন, 'ব্লিংকেন চীনে পৌঁছেছেন এবং লাল গালিচা ছাড়াই তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। কোনো ব্যান্ড বাজানো হয়নি বা অন্যকিছুও ছিল না… তাকে গুরুত্বহীন কারো মতোই স্বাগত জানানো হয়েছে।' তার এই পোস্টে ১০ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে।
দুই পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ পুনরায় শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক সহজ হয়েছে, তবে অনেক মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের সামরিক সহায়তাসহ একটি বিলে স্বাক্ষর করার দিনই তিনি চীনে পৌঁছান এবং টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য চাপ দেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের চীন ব্যুরো প্রধান জোনাথন চেং এক্স-এ লেখেন, 'ব্লিংকেনের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনা কর্মকর্তা বলেন, দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদা প্রাধান্য পাওয়া উচিত। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি অংশীদার তা একটি মৌলিক বিষয়, যাতে কোনো বিপর্যয়কর ভুল হওয়া উচিত নয়।'
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা