মালয়েশিয়ার মর্গে ২ মাস ধরে পড়ে আছে প্রবাসীর লাশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭, আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৬
মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রাণ হারানো বাংলাদেশী মো: আবদুল সোবহান (৪৯) চলতি বছরের ১৭ মার্চ সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তার পরিবারের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছে না। এ ঘটনায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটিতে তীব্র আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ শহরের রাজা মনজিৎ সিং ইপোহ হাসপাতাল মর্গে প্রায় দু’মাস ধরে পড়ে আছে আবদুল সোবহানের লাশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানালে খোঁজ নেয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে লেখা একটি পাসপোর্ট ছাড়া আবদুল সোবহানের পরিচিত কারো কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
পাসপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশীর নাম মো: আবদুল সোবহান (৪৯)। তিনি কুমিল্লা জেলার নুরের জামানের ছেলে।
হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্ট্রোকজনিত কারণে মো: আবদুল সোবহানকে ২০২২ সালে অপরিচিত এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, তার হাতে লেখা পাসপোর্টে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় লাশটি দেশে পাঠানো যাচ্ছে।
প্রবাসী ওই বাংলাদেশীর বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিতে চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। লাশ শনাক্তে স্বজন বা অন্য পরিচিতজনদের হাইকমিশনে যোগাযোগ করতেও বলা হয়।
এ বিষয়ে সোমবার কথা হয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাসের সাথে। তিনি বলেন, ‘আব্দুল সোবহানের পারিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় তার বাড়ি। কিন্তু পরিবার তার (সোবহান) লাশ দেশে নিতে চাচ্ছে না। হাইকমিশন থেকে বার বার তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরেও কোনো উওর মিলছে না, এটা খুব দু:খজনক।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের ফোন দেয়া হলেও এখন ফোন রিসিভ করছে না। কারো পরিবার যদি লাশ দেশে দাফন করতে চান সেক্ষেত্রে অফিসিয়ালি আবেদন করলে হাইকমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে লাশ দেশে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। অন্যথায় মালয়েশিয়ার বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লাশ স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।’
এদিকে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাসের কাছ থেকে আবদুল সোবহানের পরিবারের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করলে রিসিভ করার পর বিষয়টি জানতে চাইলে ভুল নাম্বার বলে লাইন কেটে দেয়া হয়। এরপর বার বার ফোন করলেও অপর প্রান্ত থেকে আর কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
লাশ দেশে আনতে পরিবারের এমন নির্মমতা মেনে নিতে পারছেন না প্রবাসীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা