বাংলার দিগন্ত

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আলোচনায় মাসুদ হিলালী

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির চার মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে কাজ করছেন। তারা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা চার দলীয় ঐক্যজোটের সাবেক আহ্বায়ক ও দলের সাবেক এমপি মোহাম্মদ মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির বর্তমান সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া।
মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন সাবেক এমপি মাসুদ হিলালী। তিনি ৯৬-এ দুইবার এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ আশরাফের বিপরীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে পরাজিত হন তিনি।
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন মাসুদ হিলালী। এ জন্য কয়েক মাস অন্তত ৪০টি কর্মিসভা করেছেন তিনি। ওই সব সভায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা এবং সাজা বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। সেই সাথে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন সদর উপজেলা ও হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলের সিনিয়র নেতা মাসুদ হিলালী মাঠে নামায় কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি পুনরুদ্ধারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সদর ও হোসেনপুরের দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষ। নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে এ আসনে মাসুদ হিলালীই উপযুক্ত প্রার্থী। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে মাসুদ হিলালী বিজয়ী হয়ে জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে মাসুদ হিলালী বলেন, বাংলাদেশের তিন-তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাবন্দী। দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা বলতে কিছুই নাই। একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি চুপ থাকতে পারি না। তাই এর জন্য মাঠে নেমেছি। দেশের এই পরিস্থিতিতে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। অতীতে দলের প্রয়োজনে আমি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। ভবিষ্যতে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবো।

আরো সংবাদ