১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৩ রজব ১৪৪৬
`

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০০ শতাংশ

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০০ শতাংশ - সংগৃহীত

গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট হাবিয়ের মিলেই আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেয়ে বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমবে।

মার্চের তুলনায় চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসেবে দেখছে প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।

তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়েছে।

কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।

মিলেইয়ের কঠোর ব্যয়সংকোচ
মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি।

মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ ও বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন। তিনি ৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন। সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাত দেয়া বন্ধ করেন। তেল ও পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিনিয়োগকারীরা এই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

গরিব ও শ্রমিকরা বিপাকে
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, অর্থের এই ছাঁটাইয়ের ফলে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হবে। পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিক্সের সাথে যুক্ত মনিকা দ্য বলে মনে করেন, ‘মানুষ খরচ করা কমিয়ে দিয়েছে বলে সার্বিকভাবে খরচ কমে গেছে। তাই মুদ্রাস্ফীতির হার কম হয়েছে।’

তার মতে, ‘মানুষের অবস্থা আগের থেকে খারাপ হয়েছে। তারা বাধ্য হয়ে খরচ কমাচ্ছে।’

মিলেইয়ের সমালোচকরা দাবি করেন, তার নীতির ফলে গরিব ও শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।

সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো ও অর্থ না থাকার কারণে এটা ঘটেছে।

২৩ বছর বয়সী সুপারমার্কেটে কাজ করা অগাস্তিন পেরেজ জানান, তার বাড়ির ভাড়া ৯০ শতাংশ বেড়েছে, বিদ্যুতের বিল বেড়েছে ৩০০ শতাংশ।

পেরেজ বলেন, ‘মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। ওরা বলছে, পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, কিন্তু কোথায় হয়েছে আমি বুঝতে পারছি না।’

আর্জেন্টিনার জিডিপি চলতি বছর দুই দশমিক আট শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে মেসির দেশ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের মধ্যেই লুটপাট, আটক আরো ১০ লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে, বেড়েছে সবকটি সূচক আ’লীগের প্রতিটা নেতাকর্মীকে আইনের আওতায় আনতে হবে : হাসনাত আবদুল্লাহ শুক্রবারের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে : জাহিদ জিয়া ট্রাস্ট মামলা : খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস কারখানা খোলার দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের মানববন্ধন আবারো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন বকুলকে মালয়েশিয়ায় সংবর্ধনা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন আজ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হাউসি

সকল