০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাত্র দুই মাসেই অকেজো বিআরটিসির বাস

-

ভারত থেকে বিআরটিসির জন্য কেনা বাসে ত্রুটি দেখা গেছে। মাত্র দুই মাস আগে দেশে আসা ভারতীয় কোম্পানি টাটার বাসে বৃষ্টির পানি পড়ছে ছাদ ফুটো হয়ে। গাবতলী ডিপোতে গত ১৬ এপ্রিল এবং ১০ মে দেয়া আটটি নতুন বাসেই দেখা দিয়েছে এ সমস্যা। বাসের বডিতে যে মানের শিট দেয়ার কথা ছিল, দেয়া হয়নি তা। পাতলা শিট দেয়া হয়েছে। বাস দেশে আনার আগে কয়েক দফায় ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন করেছিলেন বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিআরটিসি যে মানের (স্পেসিফিকেশন) বাস চেয়েছিল, সেই মানের বাস দেয়া হচ্ছে কি না, তা দেখতেই পরিদর্শন। বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, পরিদর্শনে সমস্যা ধরা পড়েছিল। কিন্তু সমস্যা জেনেও বাসগুলো আনা হয়।
গত ১৫ জুন বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বাসে ত্রুটির কথা জানিয়ে চিঠি দেন গাবতলী ডিপো ম্যানেজার মো: মনিরুজ্জামান। বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়াকে দেয়া এ চিঠিতে বলা হয়েছেÑ ‘গাড়িগুলোর ছাদ দিয়ে বৃষ্টির সময় ভেতরে পানি পড়তে দেখা যায়। কারণ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, বাসের ছাদে যে এমএস শিট দেয়া হয়েছে, তা অতি মাত্রায় পাতলা। শিট ছিঁড়ে ভেতরের রিভিট বের হয়ে এসেছে; যার কারণে রিভিটের ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে সিলিং বেয়ে পানি ভেতরে পড়ছে।’
বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বাসগুলোতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাসের ইঞ্জিন টাটার তৈরি হলেও বডি এসিজিএল গোয়া নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি। চুক্তি অনুযায়ী, তারা দুই বছর বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে। তাদের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে এসে সমস্যার সমাধান করে দেবে। সমস্যার কথা জেনে তারা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বাস সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠানের বিলের ২০ শতাংশ এখনো পরিশোধ করা হয়নি। বিল আটকে দিতে ভারতের এক্সিম ব্যাংককে জানানো হয়েছে। ভারতীয় ঋণে (এলওসি) দেশটি থেকে কেনা বাসগুলোর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ২০ বছর। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও একে বড় সমস্যা বলে মনে করছেন না বিআরটিসির চেয়ারম্যান।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হক জানিয়েছেন, নতুন কেনা বাসে দুই মাসেই সমস্যা দেখা দিয়েছে, এর মানে যারা প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনে (ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন) ভারত গিয়েছিলেন, তারা ঠিকমতো বাসগুলো পরীক্ষা করে দেখেননি। বিদেশে ঘুরেফিরে চলে এসেছেন। বাংলাদেশে সরকারি কেনাকাটায় এ অনিয়ম নতুন নয়। বিআরটিসির জন্য আগে কেনা বাসগুলোও এ কারণে টেকেনি।
২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চুক্তি হয়। এ চুক্তিতে ৫৮১ কোটি টাকায় ৬০০ বাস এবং ২১৭ কোটি টাকায় ৫০০ ট্রাক কেনা হয় ভারত থেকে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে অশোক লিল্যান্ডের ৩০০ দ্বিতল, ২০০ একতলা এসি বাস এবং টাটার ১০০ নন-এসি বাস কেনা হয়েছে। হ


আরো সংবাদ



premium cement
নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজের আবেদন নিষিদ্ধ করল জান্তা সরকার তানজিদ-সাইফুদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৭ জন আটক ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’

সকল