এদেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থানের সম্ভাবনা নেই : র্যাব ডিজি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জুলাই ২০২৪, ২০:২৩
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো: হারুন অর রশিদ বলেছেন, এদেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও মৌলবাদের উত্থানের সম্ভাবনা নেই। বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ।
র্যাবকে একটি আধুনিক ও পেশাদার বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র্যাবের সেই সক্ষমতা আছে। র্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে সবসময় র্যাবের নজরদারি রয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ৮ বছর পূর্তিতে আজ সোমবার সকালে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান একথা বলেন ।
র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গি সদস্যকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে।
জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত পাড়া থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে র্যাব ডিজি বলেন,‘আমরা এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি।’
ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও আমাদের নজরদারি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় প্রচারণা চালিয়েছে। তারা তখন ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে। আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলায় দেশী-বিদেশী নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। এরমধ্যে ইতালির ৯, জাপানের ৭, ভারতীয় ১ ও ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক। পরে র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলায় অংশ নেয়া ৫ জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজন শেফ ও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন রেস্তোরাঁ কর্মী নিহত হন। এই ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা