রাজধানীতে ঘনঘন আগুনের ঘটনায় নাশকতার গন্ধ পাচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। গত আড়াই মাসের মধ্যে ঢাকায় তিনটি বড় আগুনের ঘটনাকে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা বলতে নারাজ তিনি। এ সম্পর্কে সাঈদ খোকন বলেন, ‘নিছক দুর্ঘটনা, না কি এর পেছনে কোনো নাশকতা আছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শনিবার মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ‘নিরাপদ কেমিকেল ব্যবস্থাপনা : চকবাজার পরবর্তী প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন মেয়র খোকন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রাসায়নিকের গুদাম সরানো নিয়ে এই সভা ডাকা হয়।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে ২৩ তলা বাণিজ্যিক ভবন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন ২৬ জন।
তার দুই দিনের মাথায় নগর ভবনে এই সভা শুরুর আগে আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায় গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেট লাগোয়া কাঁচাবাজারটি।
চুড়িহাট্টার ঘটনার তদন্তকারীরা আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থকে দায়ী করলেও আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, তা বের করতে পারেননি। বাকি দুটি ঘটনার তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে কেউ অগ্নিকাণ্ডের নাশকতা ঘটাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সজাগ থাকতার পরামর্শও দেন মেয়র খোকন।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বক্তব্য রাখেন।
সভায় পুরোনো ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন করার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
তাদের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার সুবিধায় বাবুবাজার এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর মহাপরিচালককে অনুরোধ করেন মেয়র খোকন।
তিনি ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার না হওয়ার উপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষ যেন মারা না যায়, সে বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। জীবনের বিনিময়ে কোনো ব্যবসা নয়।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা