২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশী ইফতার সামগ্রীর পসরা

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশী ইফতার সামগ্রীর পসরা - সংগৃহীত

বাংলাদেশীদের জন্য এখন অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। ২০২২ সালের পর কলিং ভিসায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী বেকার কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার নাগরিকদের ধর্ম এক হলেও জীবনধারণ, পোশাক ও খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর দিন শেষে দেশীয় খাবারেই স্বাদ পেতে চান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। আর তাদের চাহিদার ভিত্তিতে দেশটিতে অসংখ্য বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।

আর এসব বাংলাদেশী খাবারের দোকানেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশী খাবারের পসরা সাজিয়ে বাঙালি ক্রেতাদের আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে যেন বাংলাদেশী ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলায় পরিনত হয় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং সহ দেশটির বিভিন্ন এলাকা।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় দেড় মিলিয়ন বাংলাদেশী রয়েছেন। দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। উপযুক্ত কারণ ছাড়া রোজা না রাখলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের খাবারের মধ্যে যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি ইফতারেও রয়েছে ভিন্নতা। মালয়েশিয়ার খাবারগুলো মিশ্র পাশ্চাত্যের ঘেষা। বাংলাদেশীরা প্রথম প্রথম মালয়েশিয়ায় গিয়ে এসব খাবার খেতে পারেন না, অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। তখন বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ও নিজেরা রান্না করে খেতে হয় তাদের। মালয়েশিনরা ইফতারে ছোলাবুট ও মুড়ি খেতে জানে না। অন্যদিকে সব শ্রেণীর বাংলাদেশীর মুখরোচক খাবার মুড়ি বুট, বেগুনী, আলুর চপ, পিয়াজু ও জিলাপি। এসব দেশীয় খাবারের লোভে প্রবাসীরা ভিড় করছেন দেশীয় রেস্তোরাঁর ইফতারির বাজারে।

কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাং বানিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশী জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, রংধনু রেস্টুরেন্ট, আলো ছায়া রেস্টুরেন্ট, ব্যাচেলর পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও রয়েছে তেজপাতা রেস্টুরেন্ট, রসনা বিলাস রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট, বাসমতি রেস্টুরেন্ট, রাধুনী বিলাস রেস্টুরেন্ট। এগুলোতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

তবে প্রবাসী ক্রেতারা বলছেন, এসব খাবারের দাম একটু বেশি। তারপরও প্রবাসের মাটিতে এসব দেশীয় খাবারে ইফতার করে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।

আর দেশীয় খাবার বিক্রতারা বলছেন, ‘আমরা যেসব উপকরণ দিয়ে বাংলাদেশী খাবার তৈরি করি সে সব উপকরণের দাম সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেই থাকে। একবার দাম বাড়লে সেটা আর কখনো কমে না। তখন বাধ্য হয়ে বেশি দামেই এসব পন্য কিনতে হয়। তাই তুলনামূলকভাবে দেশীয় পণ্যেরন দাম একটু বেশি হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনেরর মৃত্যু স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুমজা ইউসুফের পদত্যাগ মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ

সকল