২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কমলগঞ্জে নারীর খন্ডিত মস্তক উদ্ধার : হত্যাকারী আটক

-

৭দিন পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা বাগানে উদ্ধারকৃত লাশের খন্ডিত মস্তক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতাকে সিলেট থেকে গ্রেতারের পর তার তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় ধলই চাবাগানের ধানী জমি থেকে খন্ডিত মাথা বের করে দেয় হত্যাকারী বাবুল দাস(২৪)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হত্যাকারীছাড়াও আরো দুইজনকে আটক করা হয়। মস্তক উদ্ধারের পর পরিচয় মিলেছে লাশের। নিহতের নাম বৈষ্ণবী ইরানী তাঁতী (২৫)। সে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট চা বাগানের দেব তাঁতী ও সেতু তাঁতীর মেয়ে।
জানা যায়, বুধবার শ্রীমঙ্গল হতে বৈষ্ণবী ইরানী তাঁতী বের হওয়ার পর শনিবার সকালে ধলই চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকায় মস্তকবিহিন অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় চা শ্রমিকরা। এ দিন বিকালে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ মস্তকবিহিন বৈষ্ণবীর লাশ উদ্ধার করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক ধাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে এ হত্যাকান্ডের অনেক তথ্য বের হলেও ঘটনার তথ্য সংগ্রহে সন্দেহজকভাবে ধলই চা বাগানের দয়াল সেতু,রতন, দুদু ও হাসান নামের ৪জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানুর জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ধলই চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটিসহ সাধারণ চা শ্রমিকদের সময় বেঁধে দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের খোঁজে বের করতে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে নিহত বৈষ্ণবীর ব্যবহৃত কাপড়ের বেগসহ আরও কিছু সামগ্রী লাশ উদ্ধারের স্থানে ফেলে যায় কে বা কাহারা।
ফেলে যাওয়া কাপড়ের সাথে নিহত বৈষ্ণবীর মুঠোফোনের নম্বরসহ আরও কয়েকটি নম্বর পাওয়া যায়। এগুলো ট্রেক করে পুলিশ শমশেরনগর চা বাগানের অধীন দেওছড়া চা বাগানের বাবুল দাস(২৪)কে আটক করে। পরে তাকে সাথে নিয়ে সিলেট শহরের মেহেদী বাগ এলাকা থেকে ধলই চা বাগানের বিক্রম দাসের ছেলে বাবলু দাসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বাবলু দাসই বৈষ্ণবী ইরানী তাঁতীর মূল হত্যাকারী। সে লাশ উদ্ধারের দিন সকাল ৭টায় বাবার চিকিৎসার নাম করে সিলেট চলে যায়।
গ্রেফতার বাবলু দাসের দেওয়া তথ্যে মতে শুক্রবার সকালে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক(তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ধলই চা বাগানের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী নাউকুছি এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে তরুনীর খন্ডিত মস্তক উদ্ধার করেন।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আরিফুর রহমান মূল হত্যাকারীসহ ৩ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তরুনীর খন্ডিত মস্তকও উদ্ধার হয়েছে। এ মামলাটির জোর তদন্তক্রমে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল