১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাবরী মসজিদ নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

- ছবি : সংগৃহীত

ভারতের মসজিদ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, ‘বাবরী মসজিদ ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌।’

তিনি আজ বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তায় ওই মন্তব্য করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ‘বাবরী জিন্দা হ্যায়’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বাবরী মসজিদ এবং বাবরী মসজিদ ধ্বংসের একটি করে ছবি ও শেয়ার করেছেন।

ওয়াইসি এরআগে বলেছিলেন, ‘আমরা ভুলতে পারি না যে, অযোধ্যায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাবরী মসজিদ ছিল এবং ১৯৯২ সালে অপরাধী জনতা তাকে ধ্বংস করেছিল।’

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাবরী মসজিদ ছিল এবং তা সবসময় মসজিদই থাকবে। আমরা নয়া প্রজন্মকে বলব আমাদের মসজিদকে ধ্বংস করা হয়েছিল।’

ওয়াইসি বলেন, ‘১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কী বাবরী মসজিদ ধ্বংস করা হয়নি? ইতিহাস স্মরণ রাখবে যে, ১৯৪৯ সালের ২২/২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে কী হয়েছিল যখন মসজিদের মধ্যে প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়েছিল। এরপরে ১৯৯২ সালে সেটি ধ্বংস করা হয়।’

ওয়াইসি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপূজা ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে যান তাহলে তাতে দেশের সংবিধানের মূলভিত্তি, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ রক্ষা করার শর্ত ভঙ্গ হবে।

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ভূমিপুজায় অংশগ্রহণ করেন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশো বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় ‘করসেবক’ নামধারী উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতা ধ্বংস করেছিল। তাদের দাবি, এটি শ্রী রামচন্দ্রের জন্মস্থান।

ওই ইস্যুতে দীর্ঘকাল ধরে আদালতে আইনি লড়াইয়ের পরে গতবছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট একটি ট্রাস্ট গঠন করতে বলে এবং ট্রাস্টের মাধ্যমে বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। এব্যাপারে আদালতে মুসলিমদের দাবি খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই বহুলালোচিত রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়। পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement