২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অজু শেষে কলেমা শাহাদাৎ পড়ার ফজিলত

অজু শেষে কলেমা শাহাদাৎ পড়ার ফজিলত - ছবি : সংগৃহীত

নামাজের আগে অজু করা ফরজ। অজু ছাড়া নামাজ হবে না। মুসলমানের ১৩০ ফরজের মধ্যে শুধু অজুর মধ্যে চার ফরজ রয়েছে। অজু শেষে কলেমা শাহাদাৎ পাঠ করলে আমলনামায় বাড়তি সওয়াব যোগ হয়। অজু শেষে কলেমা শাহাদাৎ পাঠ করা মুস্তাহাব। কলেমা শাহাদাতের মধ্যে সত্যের সাক্ষ্য রয়েছে। এ জন্য কলেমা শাহাদাতকে সত্যের সাক্ষ্যের কলেমাও বলা হয়ে থাকে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বলুন, সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে; অবশ্যই মিথ্যাকে বিলুপ্ত হতে হবে।’ (সূরা বনি ইসরাঈল-৮১) মিথ্যা কথা বা বিবৃতি মানুষকে ধ্বংস করে। যে বা যারা অতীতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে কিংবা মিথ্যা কথা বা কাজকে প্রশ্রয় দিয়েছে; উভয় ধ্বংস হয়েছে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের আগেও বহু উদাহরণ অতীত হয়ে গেছে, সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াও এবং দেখো, মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণতি কী হয়েছিল।’(সূরা আল-ইমরান-১৩৭)

অজু একটি সহজ আমল। ইবাদতের উদ্দেশ্যে অজু করলে আমলনামায় নেকি বৃদ্ধি পায়। অজু শেষে যে কলেমা শাহাদাৎ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়। হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা: থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সব নিয়ম-কানুনসহ উত্তমরূপে অজু করবে, এরপর ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু’ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করতে পারবে। ( মুসলিম-তিরমিজি ও মিশকাত, পৃষ্ঠা-৩৯)

অজুর দোয়ার মধ্যেও চারটি সত্যের সাক্ষ্য রয়েছে। সত্যের বিপরীত হলো মিথ্যা। সব পাপের জননী হলো মিথ্যা। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সবার রব। তিনি সবার রিজিকদাতা। হজরত মুহাম্মদ সা: আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। এ সাক্ষ্য যারা দেবেন, আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তাদের জন্য পরকালে জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কলেমা শাহাদাতের ওপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : প্রবন্ধকার

বিচারকের মীমাংসা হারামকে হালাল করে না
বেগম দিলরুবা ইকবাল

এ পৃথিবীতে মুমিন, মুশরিক, কাফের সবার জন্যই কুরআন নাজিল হয়েছে। সবাইকে কুরআনের বিধান মেনে চলতে হবে। দুঃখের বিষয়, মুসলিমরাই মানে না; বিধর্মী মানবে কী করে। একটা মিথ্যা বলতে কাফেরের বুক না কাঁপলেও মুমিনের বুক কাঁপে, সত্য-মিথ্যা, আলো-আঁধার, রাত-দিন কখনো এক হতে পারে না। সভ্যভাবে বাস করার জন্য আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ একে অপরের সাথে ভাইয়ের মতো ব্যবহার করবে। বোনেরা থাকবে নিরাপদে। এই পৃথিবীতে এখন মানুষ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে। এখানে না আছে ন্যায়বিচার না আছে শান্তি, কোনো বিচারকের বিচারের ফলে নিষিদ্ধ বিষয় জায়েজ হয় না।

উম্মে সালমা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমি একজন মানুষ, লোকেরা আমার নিকট ফায়সালার জন্য বিবাদ নিয়ে আসে। সম্ভবত একজন অপরজন অপেক্ষা বেশি যুক্তিবাদী। তার যুক্তিপূর্ণ কথা শুনে আমি হয়তো তারই পক্ষে ফায়সালা করে থাকি (অথচ ফয়সালা ঘটনার বিপরীত) তবে জেনে রেখো, যে ব্যক্তির পক্ষে এরূপ ফায়সালার পক্ষে কোনো মুসলিমের হক আমি তাকে দিয়ে দেই বা (তার বিরুদ্ধে আমি কথা বলি) এটা হচ্ছে আগুনের টুকরা, সুতরাং ওটা যেন সে না নেয় এবং বিচারকের কথা অমান্য করে’, (ফাতহুল বারি ১৩/১৯০, মুসলিম ৩/১৩৭৩) প্রকৃতপক্ষে যা হারাম তা কাজীর ফায়সালায় হালাল হয়ে যায় না এবং যা হালাল তা হারাম হয়ে যায় না, বিচারকের ফায়সালা শুধু বাহ্যিকের ওপর নির্ভরশীল থাকে। অনেক ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গির অভাব থাকে। বিচারকের ফায়সালা যদি প্রকৃত ব্যাপার বা হকের সাথে মিলে যায়, তাহলে তো ভালোই। সাক্ষীর কারণে বিচার ভিন্নতর হলে বিচারকও প্রতিদান পেয়ে যাবেন। কিন্তু ওই সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে হককে না হক এবং না হককে হকে পরিণতকারী সাক্ষ্যদানকারী আল্লাহ তায়ালার কাছে অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। তার ওপর ওই শাস্তি আপতিত হবে। আয়াত নাজিল হলো ‘তোমরা নিজেদের দাবি অসারতা জেনেশোনে জনগণের মাল ভক্ষণের উদ্দেশ্যে মিথ্যা মোকদ্দমা সাজিয়ে মিথ্যা সাক্ষী ঠিক করে অবৈধ পন্থার মাধ্যমে বিচারককে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের দাবি সাব্যস্ত করো।’

কাতাদা রা: বলেন, ‘সে জনমণ্ডলি জেনে রেখো, বিচারকের মীমাংসা তোমার জন্য হারামকে হালাল এবং অন্যায়কে ন্যায় করতে পারে না। বিচারক তো নিজের বিবেকের মাধ্যমে সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুসারে বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচারের রায় দিয়ে থাকেন, তা ছাড়া তিনিও তো মানুষ, সুতরাং তার দ্বারা ভুল হওয়াটাই সম্ভব। জেনে নাও, বিচারকের ফায়সালা যদি সত্য ঘটনার বিপরীত হয়, তা হলে শুধু বিচারকের মীমাংসা বৈধ মীমাংসা বলে একজন মুমিন তা মানতে পারে না।’ কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক বিচার প্রার্থী দুই পক্ষকেই একত্র করবেন এবং অন্যায়কারীদের কাছ থেকে তার ভালো আমল নির্যাতিতদের পাল্লায় তুলে দেয়া হবে, তার দুনিয়ার পাপ কাজের শাস্তিস্বরূপ তাদের জন্য দোজখ তো আছেই।

লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই

সকল