২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক সুবিধা

প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক সুবিধা - নয়া দিগন্ত

বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের রাস্তাঘাট বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। শেরপুর পৌরসভাটি বগুড়া জেলার ১ নাম্বার পৌরসভা হলেও এখনো সেকেলেই রয়ে গেছে ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। নেই ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান। তাই বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় অকাল বন্যা। ঠোংগা দিয়ে নৌকা বানিয়ে ছোটাছুটি করতে হয় এদিক ওদিক। পানির সাথে মিশে যাচ্ছে ময়লা আবর্জনা ও শুকুরের মল। এই পানি মুসল্লিদের শরীরে লেগে যাওয়ায় মসজিদে যেতে পারছেনা এবং শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা স্কুলে। সামান্য বৃষ্টিতে এমন চিত্র নিত্যদিনে সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়র্ডের জনগণের। ভোগান্তি যেন কমছেই না এই ৩ ওয়ার্ডবাসীর।

জানা যায়, শেরপুর পৌরসভা বগুড়া জেলার এক নম্বর পৌরসভা হলেও পানি নিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে। আজো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই পৌরসভায়। তাই তো একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে উঠে হাটু পানি। এমন চিত্র দেখা গেছে পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়র্ডে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মার্কেটের পিছনের রাস্তার উপরে বৃষ্টির পানি জমে যায়। বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকলে সেই পানি পরিণত হয় বন্যায়। একই চিত্র দেখা যায় ৯ নং ওয়ার্ডে খন্দকার পাড়ার মাজার রোড এলাকায় ও ৭ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোড ক্লিনিক এলাকায়। কিছু কিছু এলাকায় মাস্টারড্রেন হলেও নিয়ম না মেনে মাস্টার ড্রেন করায় কোন কাজেই আসছেনা সেই ড্রেন। এই সকল সমস্যা দিনদিন সমাধানের চাইতে আরো বিকট আকার ধারণ করছে। তাই ভোগান্তিও শেষ হচ্ছে না এই পৌরসভার জনগণের।

শেরশাহ নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল আলম, ডক্টরস কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম পলাশ অভিযোগ করেন, আমরা ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামকে অনেকবার বলেছি মার্কেটের রাস্তায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে। এ জন্য তাকে ৪ হাজার ১ শত টাকাও দিয়েছি। একটি পাইপ দিয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে পূর্ব পাশে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করলেও সেটি আবার বন্ধ হয়েগেছে। এর কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। সামান্য কাজের জন্য একজন জনপ্রতিনিধিকে টাকা দিয়ে কাজ করে নেওয়াই তাদের মধ্যে ক্ষেভের দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে শেরপুর প্লাজার মালিক রাহুল আলম লিমন ও রেজওয়ানুর আলম রাজন বলেন, এই সমস্যা সমাধানে আমরা অনেকদিন আগে মেয়র বরাবর একটি লিথি দরখাস্ত দিয়েছিলাম। তাতেও কোন কাজ হয়নি। আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় কিছু রাবিশ ও বালু ফেলেছিলাম শুনছি তারও বিল নাকি পৌরসভা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা পাইনি। জানিনা এ ভোগান্তি কবে শেষ হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মাস্টার ড্রেনের কাছ চলছে। ড্রেনের কাজ শেষ হলেই এই দুর্ভোগ আর থাকবেনা আশা করি। মাস্টার ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন

সকল