০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দৃষ্টিপাত : বন্যহাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করুন

-

বন্যহাতির আক্রমণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে চট্টগ্রামের বোয়ালখালিসহ বিভিন্ন জায়গায়। হাতি কোনো সময় আসেনি এমন জায়গাতেও এ বছর হাতিরপাল এসেছে। ওরা ধ্বংস করছে ঘরবাড়ি, নষ্ট করছে ক্ষেত, হত্যা করছে মানুষ। কেউ যদি কারো চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, খাদ্য নষ্ট করে ফেলে, সে তখন অনন্যোপায় হয়ে আরেকজনের ক্ষতি করা অস্বাভাবিক নয়। পাকা ধানের ক্ষেত, গমক্ষেত হাতির প্রিয়। এই মৌসুমে তারা সহসা লোকালয়ে চলে আসে পাকা ধানের গন্ধে। বন্যহাতি পোষ মানে না। তারা প্রাণহানি ঘটায়। হাতি চলাচলের অভয়রণ্যগুলো দখল করা হচ্ছে, পাহাড় কেটে করা হচ্ছে উজাড়। গাছপালা কেটে বন-জঙ্গল ধ্বংস করা হয়েছে, যেখানে হাতিনিবাস। খাদ্যসঙ্কট তীব্র হচ্ছে ওদের, সব মিলিয়ে ওরা পাহাড় ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে। গ্রামীণ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আতঙ্ক, পাগলা হাতি কার ওপর কখন চেপে বসে। এ সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ রক্ষা বিভাগ এবং বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হাতি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করা, খাদ্যসঙ্কট লাঘবের ব্যবস্থা করা, পাহাড়ে প্রয়োজন অনুপাতে তাদের জন্যে খাদ্যের বাগান তৈরি করা উচিত। বন্যহাতির পাল নেমে এলে সজোরে শব্দ করে কিংবা জ্বলন্ত মশাল ব্যবহার করা চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেয়া দরকার যে দিক থেকে আসছে সে দিকে। কারণ হাতিরা নির্দিষ্ট পথে চলাফেরা করে। হাতির মল নিয়ে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে শুকালে হাতি এলে এর আগুনে পোড়ানো যতটুকু গন্ধ পাবে তারা পালিয়ে যাবে। যেখানে নিয়মিত বন্যহাতির পাল নেমে আসে, সেখানে উচিত প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের সহায়তা নেয়া। আর প্রশাসনের দায়িত্ব জনসাধারণকে সতর্ক করা। হাতি দেখলে অনেকে ঢিল ছোড়ে, কাদা নিক্ষেপ করে। অনেকে ওদের সাথে সেলফি তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়। অন্য দিকে, হাতি শুঁড় দিয়ে আছড়িয়ে বা পা দিয়ে পিষ্ট করে মানুষ মারে। বন্যপ্রাণির সাথে ইচ্ছামতো আচরণ করতে নেই। সবার দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিÑ বন্যপ্রাণী যাতে লোকালয়ে চলে না আসে, এ জন্য এবং জানমালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

মু সাঈদী আলম
লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।


আরো সংবাদ



premium cement