২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটাররা এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ : রুমিন ফারহানা

সংসদে রুমিন ফারহানা বললেন, বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই এবং সেজন্য এখন আজান দিয়েও ভোটারদের কেন্দ্রে নেয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা।

সোমবার সংসদে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিদেশি গণমাধ্যম, বিদেশি পর্যবেক্ষক, বামমোর্চা, ১৪ দলের শরীক এমনকি নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্যের পর অতি সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদকের কিছু বক্তব্য কবরে শেষ পেরেক টোকার মতো প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। সরকার যা চাইবে নির্বাচনে ঠিক তাই হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রহসনে পরিণত হওয়ার কারণে ভোটাররা এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ। সরকারি দলের জোটসঙ্গী রাশেদ খান মেননের ভাষায় আজান দিয়েও এখন ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনা যায় না। এর কারণও স্পষ্ট করেছেন, তিনি সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারেনি।

বিএনপির এই এমপি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেছেন, ‘আমি আশ্বস্ত করছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’। নির্বাচন সুষ্ঠু করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের একক। এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী এবং সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক কী করে আশ্বন্ত করেন, তা আমার মাথায় আসে না।

রুমিন বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার দায়িত্ব যখন তিনি (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নিচ্ছেন, তার মানে কি এই নয়, এতদিন সরকারি দলের ক্যাডার ও প্রশাসনই সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র অন্তরায় ছিল? নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়। এটা তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

তিনি বলেন, সরকারের এই উদারতার কারণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন এই বলে যে, সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে সরকারের মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়বে না। এর সরল অর্থ করলে দাঁড়ায় জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেলে যেহেতু আকাশ ভেঙে পড়ার বিষয় থাকে তাই যেনতেনভাবে নির্বাচনে জেতা যেতেই পারে।

নির্ধারিত দুই মিনিট শেষ হওয়ায় এরপরই তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, সংসদে ৭১ বিধিতে জমা দেয়া জরুরি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেয়া নোটিশসমুহের মধ্যে যাদের নোটিশ গ্রহণ করা হয় না তাদের মধ্য থেকে প্রথম ১৫ জনকে দুই মিনিট করে নোটিশের ওপর আলোচনা করার সুযোগ দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement