২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনারগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

আবারো হামলা, পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক
-

দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করার আট মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের লেদামদী গ্রামের মাহবুবুর রহমান (৩২) নামে এক যুবক গত শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপতালে ইন্তেকাল করেছেন। এ ঘটনায় দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলাটি হত্যামামলা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। মাহবুবুর রহমানের দাফনের দু’দিন পর গতকাল সকালে এ মামলার প্রধান আসামি ইসহাকের নেতৃত্বে আবার মাহবুবের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। হামলায় চারজন আহত হয়। ফলে নিহতের পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাহবুব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।
নিহত মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, চাকরির পাশাপাশি তার স্বামী স্থানীয়ভাবে জমি জমার ব্যবসায় করতেন। গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার স্বামীর কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে পাশের টেমদী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, মোমেন মিয়া, কবির হোসেন, রবিন মিয়া, আবু হানিফ ও আল আমিনসহ ১০-১২ জনের একদল বাহিনী রামদা, টেঁটা ও রড দিয়ে তার স্বামী মাহবুবুর রহমানকে এলো পাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দু’পা ভেঙে মারাত্মকভাবে জখম করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ আট মাস চিকিৎসা পর গত শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিসিইউতে) মারা যান। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে লাশের দাফন করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাহবুবের দাফনের পর আসামিরা একত্রিত হয়ে প্রধান আসামি ইসহাকের নেতৃত্বে ফজলু, জাকির, হারুন, লুৎফর, বেলু, মুজিবুর, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল, মাসুম, মোমেন ও কবিরসহ ৪০-৫০ জনের একটি দল মাহবুবের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় হায়দার আলী, মামুন মিয়া, হোসনে আরা ও মতিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত মাহবুব হত্যকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই তাহসিন বাদি হয়ে গতকাল রোববার সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় ডিসেম্বর মাসে সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তার স্বামীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে দু’পা ভেঙে দেয়। বিয়ের ১১ মাসে তার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বামীর হত্যাকারী গ্রেফতার না হওয়ায় আমার পুরো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আসামি ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম শরীফুল ইসলাম জানান, আহত মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু হওয়ার কারণে চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলাটি হত্যামামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হবে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মাহবুব হত্যাকাণ্ডের মামলাটি ডিবি তদন্ত করেছেন। পুনরায় তাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ

সকল