সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা লক্ষ্য : কাদের

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটি আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবহন মালিক নেতা ও জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা, নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত ওই কমিটিতে আরো রয়েছেন পরিবহন মালিক নেতা ও জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা, নিরাপদ সড়ক চাইর (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়াসহ মোট ১৫ জন। এ ছাড়া সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে স্বরাষ্ট্র, রেল ও আইনমন্ত্রীকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ওই আইনে পরিবহন শ্রমিকদের আপত্তি ছিল। এটা সমন্বয় করে কিভাবে আইনের প্রয়োগ করা যায় সেটা ঠিক করতে তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন অনেক হচ্ছে, এখন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শত বছরের ইতিহাসে সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নজিরবিহীন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, নদীর তলদেশে ট্যানেল ও সীমান্ত সড়ক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের চিন্তা-ভাবনা অনেক উচ্চ। কিন্তু বাস্তবায়ন ধীর। তাই দুই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাতে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক জ্যামের শহর ঢাকা, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তব চিত্র নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন খাটো করার জন্য একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। যারা উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়, তারাই এই কাজ করছে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন নিয়েও চিন্তা-ভাবনা আছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) এক হাজার ১০০ এর মধ্যে ৬০০ বাস আসছে। গণপরিবহনে বেসরকারি উদ্যোগকেও সহযোগিতা করা হবে। ফলে গণপরিবহন সঙ্কট কেটে যাবে। এ ছাড়া বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সুফল আসবে।
সভায় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনার প্রতিমাসে এক সপ্তাহ ট্রাফিক সপ্তাহ করা, রিকশামুক্ত সড়ক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আমদানি বন্ধ করাসহ নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।