২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে চার কোটি মানুষের কর দেয়া উচিত : অর্থমন্ত্রী

আবুল মাল আবদুল মুহিত -

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তাতে অন্তত চার কোটি মানুষের কর দেয়া উচিত। অথচ বর্তমানে কর দিচ্ছেন মাত্র ৩০ লাখ মানুষ। তিনি বলেন, বেশি মানুষ আয়কর দিলে সরকারি সেবা আরো বাড়ানো সম্ভব।

মঙ্গলবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আয়কর মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআরের সদস্য জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী এই আয়কর মেলা। রাজধানীর পাশাপাশি ৭ বিভাগীয় শহর,জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এই মেলা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।এ জন্য আয়কর জমা নিশ্চিত করতে হবে। করের টাকায় দেশের উন্নয়ন করা হবে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বেশি মানুষ আয়কর দিলে সরকারি সেবা আরো বাড়ানো যাবে।এতে করে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।

বিশেষ অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর কাঠামোকে আরো সহজ করতে সংস্কার চলছে। এটা চলমান বিষয়,ভবিষ্যতে আরো সহজ হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মেলায় একই ছাদের নিচে করদাতারা সব সেবা পাচ্ছেন। তিনি কর কর্মকর্তাদের মেলার পরিবেশে কর অফিসে করসেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কর-জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাত এখনও ১০ শতাংশ, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এটাকে ২/৩ বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

মেলা শুরুর পরপরই সকাল থেকে বিভিন্ন কর অঞ্চলের বুথে করদাতাদের ভিড় দেখা যায়। তাদের কাউকে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ, কাউকে দেখা যায় ফরম পূরণ শেষে নির্ধারিত অংকের টাকা ব্যাংকের বুথে জমা দিতে।

মেলায় করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথও পাচ্ছেন। আর করদাতাদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলছে। করদাতারা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনলেই হবে। নারী, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ আছে। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন জমা বা ই-ফাইলিং করার সুযোগ রয়েছে।

কর মেলায় নতুন করদাতারা ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে পারবেন। আবার পুনর্নিবন্ধন করে ই-টিআইএন নিতে পারবেন পুরনো করদাতারা।এ ছাড়া ই-পেমেন্টের জন্য পৃথক বুথ খোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য,২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়।এরপর প্রতিবছরই মেলার পরিধি বাড়েছে এবং করদাতাদের মধ্যে কর মেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল