০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় কী?

মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় কী? - সংগৃহীত

ইরান বলেছে, মুসলিম দেশগুলোর উন্নয়নের পথে অন্যতম প্রধান বাধা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশের পক্ষ থেকে প্রচার করা উগ্রবাদী চিন্তাধারা এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ বলেও তেহরান উল্লেখ করেছে।

তেহরান সফররত আজারবাইজানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামিল উসুবোভ সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ইরানের মতবিরোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমেরিকা ও ইসরাইলের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শামখানি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিত পরস্পরের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার মাধ্যমে মতবিরোধ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দেয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞাকে ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেয়ার হাতিয়ারে পরিণত করেছেন বলে উল্লেখ করেন শামখানি। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা কোনো ফল পাবে না বরং উল্টো আন্তর্জাতিক সমাজে আরো বেশি একঘরে হয়ে পড়বে।

সাক্ষাতে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহওয়াজে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান আজারবাইজানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উসুবোভ বলেন, আজারবাইজান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে ইরানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

 

সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে: খামেনী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেছেন, আহওয়াজে সামরিক কুচকাওয়াজে সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পদক অর্জনকারী ক্রীড়াবিদদের সাথে এক বৈঠকে  সোমবার সর্বোচ্চ নেতা এ কথা বলেন।

গত শনিবার আহওয়াজে সামরিক কুচকাওয়াজে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন শহীদ ও ৬০ জন আহত হয়েছে। শহীদদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

খামেনী ওই হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, সিরিয়া ও ইরাকে সমস্যায় পড়লে আমেরিকা যাদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয় সেই কাপুরুষরাই এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এসব হামলাকারীদের অর্থ যোগান দিয়ে থাকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

তিনি বলেন, এই হামলার মধ্যদিয়ে আবারো প্রমাণিত হয়েছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ইরানের শত্রুর সংখ্যা অনেক। 

ইসরাইলের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে ইরানিদের না খেলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের পথম থেকেই ইসরাইল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদী সরকারের বিরোধিতা করেছে। ওই দুই সরকারকে ইরান স্বীকৃতি দেয়নি। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের পতন হয়েছে। মিথ্যাবাদী, দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলেরও পতন হবে। 

তিনি বলেন, ইরান, দখলদার ইসরাইলের ক্রীড়াবিদদের সাথে ভবিষ্যতেও খেলবে না এবং গত বছর ইরানি ক্রীড়াবিদ আলী রেজা কারিমি ইসরাইলি প্রতিনিধির সাথে খেলায় অংশ নেননি। তিনি আসলে একজন প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন। 

এশিয়ান গেমসে ইরানি ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইরানিরা যে অঙ্গনেই  সাফল্য অর্জন করুক না কেন, তাতে ক্ষুব্ধ হয় সাম্রাজ্যবাদীরা। কাজেই ইরানি ক্রীড়াবিদদের বিজয় মানেই হলো ইরানের শত্রুদের পরাজয়। গোটা ইরানি জাতির বিজয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজের আবেদন নিষিদ্ধ করল জান্তা সরকার তানজিদ-সাইফুদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৭ জন আটক ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’

সকল