২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রযুক্তিতে এগিয়েছে ইরান, বেড়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের সক্ষমতা

প্রযুক্তিতে এগিয়েছে ইরান, বেড়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের সক্ষমতা - সংগৃহীত

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ১৩০০ হর্স পাওয়ারের ডিজেল ইঞ্জিন উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী এবং পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।ইরানি বিজ্ঞানীরাই এটি তৈরি করেছে এবং এই ইঞ্জিন বিভিন্ন সেক্টরে কাজে লাগানো হবে।

ডিজেল ইঞ্জিন উদ্বোধন করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, শত্রুরা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যেসব প্রযুক্তি থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল সেগুলোর মধ্যে ডিজেল ইঞ্জিন প্রযুক্তি অন্যতম। কিন্তু ইরানি বিজ্ঞানীরা এই ইঞ্জিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। শত্রুরা চায়নি ইরান এই প্রযুক্তির অধিকারী হোক।

ইরানের এই ডিজেল ইঞ্জিন সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহন শিল্পে ব্যবহার করা হবে। এটি এক মেগাওয়াট বিদ্যৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এই ইঞ্জিনটি সিএনজি'র সাহায্যেও চালানো যাবে। এ ধরনের একটি ইঞ্জিন বিদেশ থেকে আমদানি করতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হতো তা দিয়ে এখন একই মানের পাঁচটি ইঞ্জিন ইরানে তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে ইরানের আইআরজিসি'র প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি বলেছেন, হুদায়দায় আগ্রাসী বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে এবং ইয়েমেনি জাতি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে।হুদায়দা বন্দরে হামলায় আরব জোটকে সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইসরাইল। 

মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সাফল্য শীর্ষক এক সম্মেলনে আরো বলেন, ইরাক, লেবানন ও সিরিয়ার জনগণ যে বিজয় অর্জন করেছে তা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের বিজয়।

তিনি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি প্রসঙ্গে বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর সক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে এখনই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।  ইরানের কাছে বর্তমানে দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। শত্রুদের কৌশলগত অবস্থানগুলোর বেশিরভাগই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার আওতায় রয়েছে। এ কারণে দুই হাজার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইরানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব, তা দেশ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট।

ইরানের দাবি, তাঁদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেবল প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি। জাফরি বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তা ব্যতিক্রম ছিল। ইরানের রাজনীতিবিদ ও কর্মীদের মধ্যে যাঁরা ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন করে কথা বলা সমর্থন করেন, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক ও বিপ্লববিরোধী। জাফরি জানান, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক

সকল