২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মানবতাবিরোধী অপরাধ

এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩০ জুলাই

-

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৬৯) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন সুলতান মাহমুদ সীমন। সাথে ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে ওয়াহিদুল হকের পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুর রহমান।

এবিষয়ে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন জানান, হত্যা, গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৩০ জুলাই পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

তিনি জানান, ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের শুনানি ২৮ মে শেষ করা হয়েছে। পরে আজ শুনানির নির্ধারিত দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার সময় আবেদন করলে আদালত তা পিছিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেন। আসামি ওয়াহিদুল হকের পক্ষে নতুন নিয়োগ পাওয়া আরেক আইনজীবী মিজানুর রহমান মামলার প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন বলে জানা গেছে। তখন আদালত ৩০ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।

এর আগে গত ৪ মার্চ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ মে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করেন।

এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে প্রসিকিউশন পক্ষ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মতিউর রহমান। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়। এ মামলায় মোট ৫৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্টের দায়িত্বে থাকিয়া ৪টি সামরিক জীপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলি বর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় ৫ শ’ থেকে ৬ শ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করেছে। গুলি বর্ষণ করে সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে কয়েকটি গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বছরের ২৫ এপ্রিল তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আসামি ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
দেবীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে প্রাইভেটকার চালকের মৃত্যু চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী

সকল