জোড়া খুন : সাবেক এমপির ছেলের যাবজ্জীবন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৪
রাজধানীর ইস্কাটনে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
যাবজ্জীবন সাজার সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো: মঞ্জুরুল ঈমাম আজ বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, গুলির ঘটনার সময় রনি যে স্বাভাবিক ছিলেন না, মাতাল ছিলেন, তা এ মামলার বিচারে প্রমাণিত হয়েছে।
‘৩০২ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলেও আসামির মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলো।’
গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করেন আদালত। ওইদিন রায় না দিয়ে ১৭ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য-জেরার জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম। এ ছাড়া গত বছরের ৮ মে এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত মনে করছেন মামলাটির বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে। ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার বিষয়ে অধিকতর যুক্ততর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে মদ্যপ অবস্থায় রনি নিজ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েন। এতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। পরবর্তীতে হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২৪ মে মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেফতার করে। পরে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস।
২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা