ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে রুল

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর কারাগার থেকে ঢাকায় এনে যথোপযুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজিপি, আইজি প্রিজন (কারা মহাপরিদর্শক), রংপুর কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

এর আগে গত ০৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশদেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুসারে প্রতিবেদন আজ দাখিল করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি কওে আদালত রুল জারি করেন।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের একটি টক শোতে আলোচনার একপর্যায়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন। এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা। রংপুরের বাসিন্দা মিলি মায়া বেগম ২২ অক্টোবর আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রংপুরে করা মানহানির ওই মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পওে গত ০৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। ৪ নভেম্বও রংপুরের আদালতে হাজির করা হলে সরকার সমর্থকরা তাকে আদালত চত্বরে লাঞ্ছিত করে। পরে ৭ নভেম্বও তার স্ত্রী সাজু হোসেন বাদী হয়ে হাইকোর্টে দুটি রিট করেন। একটি তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবিতে এবং অন্যটি তাকে লাঞ্ছিত করার ক্ষেত্রে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে।