২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবর আজ আদালতে যা বললেন

বিএনপি
আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবর - ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে আজ।

রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের ফাঁসি ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর লুৎফুজ্জামান বাবর আদালতে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আল্লাহ এর বিচার করবেন। আমাকে বার বার রিমান্ডে নিয়ে তারেক রহমানকে এ ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মুফতি হান্নানের কথিত স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে এ রায় দেয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। ওই দিন রায়ের তারিখ ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আসামিদের পক্ষ থেকে বেকসুর খালাস দাবি করে।

মামলাটি প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষে ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনকে আদালতে উত্থাপন করা হয়। ২১ আগস্ট গেনেড হামলা মামলার মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। বিচারকালে আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বর্তমানে মামলা দু’টিতে মোট আসামির সংখ্যা ৪৯।

এ মামলায় জামিন বাতিল হওয়া আটজনসহ ৩১ আসামি কারাগারে আছেন, বাকি ১৮ জন পলাতক। এ মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ করার আগে জামিনে থাকা আট আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আটক ৩১ আসামির উপস্থিতিতে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ’ নেতাকর্মী।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই এ সংক্রান্ত হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার বিচার শুরু হয়। ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এর অধিকতর তদন্ত করে। এরপর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর দুই অভিযোগপত্রের মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। অন্য মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৪৯।  


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল