১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


পুঠিয়ার গোবিন্দ মন্দির

অনন্য স্থাপত্য
-

গোবিন্দ মন্দির রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ির ছয়টি মন্দিরের মধ্যে সর্বনিকটতম। এটি বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত একটি প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা। গোবিন্দ মন্দির ১৮২৩ থেকে ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে রানী ভুবনময়ী দেবী কর্তৃক নির্মিত হয়। রাজশাহী শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ির সবচেয়ে কাছে এই মন্দিরের অবস্থান। রাজবাড়ির পেছনের অংশে এই মন্দিরের মূল এবং একমাত্র প্রবেশপথ। মন্দিরের পেছনে মহারানীর গোসলঘাট। অন্য পাশে রাজবাড়ি। রাজবাড়ির বিপরীত পাশে বর্তমানে রয়েছে ভূমি অধিদফতরের কার্যালয়। মন্দির এলাকার ভেতরেই রয়েছে কাচারিঘরের কর্মচারীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ভবনের ধ্বংসাবশেষ।
মন্দিরটি মূলত ইট দ্বারা নির্মিত। বহিঃদেয়ালে রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক। এসব চিত্রফলকে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। বর্গাকার এ মন্দিরের প্রতি বাহু ১৪.৪৭ মিটার এবং উচ্চতায় প্রায় ১৮.২৮ মিটার। পঞ্চরতœ স্থাপত্য পরিকল্পনায় এ মন্দিরের চার কোণে চারটি ও কেন্দ্রে একটি করে মোট পাঁচটি শিখর বা রতœ আছে। শিখরগুলো ক্ষুদ্রাকার, চৌচালা আকারে নির্মিত। প্রথম তলার প্রতি পাশে তিনটি করে প্রবেশ পথ রয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথের উপরাংশে রয়েছে বহুমুখী খিলান। মন্দিরের ছাদের কোণগুলো আংশিক বাঁকানো।

 


আরো সংবাদ



premium cement