১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে লিঙ্গ হারালেন যুবক

ধর্ষণ
প্রতীকি ছবি - ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায় প্রবাসী স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে লিঙ্গ হারালেন আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার মদনা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী (২৮) ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ পেয়ে একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে লম্পট আরিফুল তার ঘরের দরজায় করা নাড়ে। প্রবাসীর স্ত্রী কিছু না বুঝে দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আরিফুল।

এসময় ওই নারী নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করে গ্রামবাসীকে ডাকতে থাকে। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘরের ভিতর থাকা বটি দিয়ে আরিফুলের লিঙ্গে কোপ মারেন। এতে আরিফুল মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত যখম হন।

পরে এলাকাবাসীরা আরিফুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন :
মোবাইল ফোনে পরিচয়, দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ, শেষে হত্যা
রাজনগর (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা, ০৩ জুন ২০১৮
মৌলভীবাজারের রাজনগরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত যুবতীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম রাশেদা বেগম (৩০)। তিনি সিলেটের উসমানীনগর উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের অইয়া গ্রামের মৃত ফরাসত মিয়ার মেয়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ আবারক মিয়া (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের ছিককা গ্রামের মজম্মিল মিয়া ওরফে মজু মিয়ার ছেলে।

রোববার বিকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গণধর্ষণ শেষে রাশেদাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আবারক মিয়া।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, উসমানীনগর উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের অইয়া গ্রামের মৃত ফরাসত মিয়ার মেয়ে রাশেদা বেগমের (৩০) মোবাইল ফোনের সূত্রে পরিচয় ছিল গ্রেফতারকৃত আবারক মিয়া ও মৌলভীবাজারের এক যুবকের সঙ্গে।

এর সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার তাদের দেখা-সাক্ষাতও হয়েছে। গত ৩০ মে বুধবার তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মৌলভীবাজার আসেন রাশেদা বেগম।

ঐদিন সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের ওই যুবককে নিয়ে রাজনগর উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন রাশেদা। এসময় ওই যুবক আবারক মিয়াকেও ফোন দিয়ে রাজনগর নিয়ে আসেন। রাশেদাকে নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদের পার্শবর্তী মাছুয়া নদীর ধার ঘেসে পুশ্চিম দিকে যেতে থাকেন।

এসময় দক্ষিন খারপাড়া গ্রামের মোবারক মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে নদীর ধারে এসে ওই যুবক রাশেদাকে কুপ্রস্তাব করেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় উভয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেছিয়ে তাকে হত্যা করেন ধর্ষকরা। পরে লাশের সঙ্গে ইট বেঁধে নদীর পানিতেই তলিয়ে দেন রাশেদার লাশ।

এ ঘটনায় রাশেদার ভাই আব্দুল খালিদ রাজনগর থানায় মামলা করেন। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রাজনগর থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম ও এসআই রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আবারক মিয়াকে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার থেকে গ্রেফতার করে।

রোববার বিকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যজিস্ট্রেট জিয়াদুল হকের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে নিহতের ভাই মামলায় উল্লেখ করেছেন পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে রাশেদা বেগম ধান কেনার জন্য এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার ধান কেনার কথা ছিল। তবে নিহতের টাকা ছিনিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেনি আসামি আবারক মিয়া।

উল্ল্যেখ্য যে গত শুক্রবর রাতে রাজনগর থানা পুলিশ দক্ষিক খারপাড়া গ্রামের মোবারক মিয়ার বাড়ির পশ্চিমে মাছুয়া নদী থেকে ভাসমান এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের খবর পেয়ে নিহতের ভাই রাজনগর থানায় এসে লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল ইসলাম বলেন, আসামীরা রাশেদাকে ধর্ষণ করে লাশ পানিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছে। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল