১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলার ডুবি, ৯ জেলে নিখোঁজ

-

সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তাল বঙ্গোপসাগরে ৯ জেলে সহ আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ায় নিখোঁজ শরণখোলাসহ উপকুলীয় এলাকার ১০/১২টি ট্রলার ফিরে এলেও এখনো ২০/২৫টি ট্রলারসহ সাগরে তলিয়ে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারের জেলে আমির হোসেনের হদিস মেলেনি। এসব ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে উদ্বেগ বেড়েই চলছে। প্রচন্ড ঢেউয়ের কারণে সাগরে কোষ্টগার্ডের উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।

শরণখোলার রাজৈর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী কবির আড়ৎদার জানান, তার মালিকানাধীন এফবি খাইরুল ইসলাম ও একই গ্রামের কামাল মিয়ার এফবি আল্লা মালিক ফিশিং ট্রলারের কোন সন্ধান তারা পাচ্ছেন না।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক দুলাল মাস্টার মোবাইল ফোনে জানান, শনিবার সাগরে নিখোঁজ ৩৫টি ট্রলারে মধ্যে ১০/১২টি ফিরে এসেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২৫টি ট্রলার। তাদের স্বজনরা সকাল থেকে মৎস্য ঘাটে এসে ভীড় করছে। কোন ট্রলার ফিরে এলেই সেখানে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্বজনদের পাবার আশায়। একইদিনে ফেয়ারবয়া এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারে জেলে আমির হোসেনের কোন সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

দুলাল মাস্টার আরো জানান, শনিবার সকালে আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর তিনি জানিয়েছেন। ট্রলার দু’টির ৩৫ জেলের মধ্যে ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ দুুটি ট্রলার হচ্ছে বরগুনার গুলিশাখালী এলাকার কামাল দফাদারের মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই ও বরগুনা সদরের আশুতোষ বাবুর এফবি অর্ক।

কোস্টগার্ডের মোংলা জোনের অপারেশন কমান্ডার লেফটেনেন্ট আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, খবর পেয়ে তাদের জাহাজ সিজিএস মুনসুর আলী ও সিজিএস তামজিদসহ দুটি ট্রলার সাগরে জেলেদের খোঁজে টহল অব্যহত রয়েছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পাথরঘাটার ৫ টি ট্রলার ফিরে এসেছে। জাহাজ মনসুর আলী ফিরে এলে আগামীকাল জাহাজ সিজিএস কামরুজ্জামানকে সাগরে পাঠানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement