২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাঁতের দাগ প্রতিরোধে

-


বিভিন্ন কারণে দাঁতে দাগ যে কারো হতে পারে। এ দাগ স্থায়ী এবং অস্থায়ী দু’রকমেরই হতে পারে। এবার আসা যাক এসব দাগ নিয়ে কিছু কথায়।
অস্থায়ী দাগের কারণ
১. পানের দাগÑ পান, সুপারি, খয়ের ইত্যাদি ব্যবহারে দাঁতের গায়ে গাড় বাদামি রঙয়ের সৃষ্টি হয়।
২. তামাকের দাগ- ধূমপানকারীদের দাঁতে বাদামি বা কালো রঙয়ের দাগ সৃষ্টি হয়। এই দাগ দাঁতের সন্নিকটস্থ তলে এবং দাঁতের জিহ্বার দিকের অংশে বেশি জন্মে।
৩. ধাতব দাগ- দীর্ঘ দিন ধরে নলকূপের পানি পান করলে সব দাঁতে বাদামি দাগ সৃষ্টি হতে পারে। কারণ নলকূপের পানিতে লোহার পরিমাণ বেশি থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন আয়রন জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলেও এমন দাগ হতে পারে। এ ছাড়া দাঁতের ওপর জমে থাকা সাদা, খয়েরি বা কালো রঙের পাথরও দাঁতের দাগের মতোই দেখায়।
স্থায়ী দাগের কারণ
১. টেট্রাসাইক্লিনের দাগ- দীর্ঘ দিন ধরে টেট্রাসাইক্লিন নামক জীবাণু প্রতিরোধক ওষুধ সেবনে দাঁতের গায়ে বাদামি বা হলদে ধরনের দাগের সৃষ্টি হয়। শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালে মা যদি এই ওষুধ সেবন করে, তবে ভূমিষ্ঠ শিশুর দাঁতে এ ধরনের দাগ পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য আট বছর বয়স পর্যন্ত টেট্রাসাইক্লিন নামক ওষুধ শিশুদের দেয়া যাবে না।
২. ফ্লুরোসিস- দাঁত গঠনকালে অধিক পরিমাণে ফ্লুরাইডযুক্ত পানি অধিক গ্রহণ করলে দাঁতে বাদামি রঙের দাগ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত ফ্লুরাইড গ্রহণের ফলে দাঁতে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। একে বলে মটেলড এনামেল।
৩. দাঁত গঠনকালীন অন্যান্য ত্রুটিÑ বংশগত ত্রুটি বা রোগাক্রান্ত দাঁতের অবর্ধন বা দাতে অপরিমিত ক্যালসিয়াম সঞ্চয় হলে দাঁতের গায়ে সাদা, হলদে বা বাদামি রঙের দাগ ও ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। অপরিমিত ক্যালসিয়ামের কারণে দাঁতের গঠন খুবই দুর্বল হয় এবং সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
দাঁতের দাগের চিকিৎসাÑ
বেশির ভাগ অস্থায়ী দাগ ভালোভাবে ব্রাশ করলে উঠে যায়। তবে প্রয়োজন হলে স্কেলিং ও পলিশিং করেও দাঁতের দাগ দূর করা যায়।
স্থায়ী দাগের চিকিৎসা কঠিন। কোনো ছোট দাগ তুলে কেটে সেখানে দাঁতের রঙের সাথে মিলিয়ে ফিলিং করা যায়। আর কোনো সমস্যা না থাকলে কোনো কিছু করার দরকার নেই।
বিকৃত রঙের এনামেলকে ফিরিয়ে আনতে কম্পোজিট ফিলিং একটি আধুনিক চিকিৎসা।
দাঁতের দাগ প্রতিরোধে করণীয়Ñ
১. পানের সাথে অতিরিক্ত পরিমাণে জর্দা, খয়ের ইত্যাদি না খাওয়া এবং পান খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা।
২. শিশুকালে আট বছর বয়সের মধ্যে এবং গর্ভবর্তী মাকে ‘টেট্রাসাইক্লিন’ জাতীয় ওষুধ না দেয়া।
৩. ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করা।
৪. অধিক আয়রন বা ফ্লুরাইডযুক্ত পানি দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করা।
৫. সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক সময়ে অবশ্যই নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখা।
লেখিকা : ডাইরেক্টর ও ডেন্টাল সার্জন, নাহিদ ডেন্টাল কেয়ার, ১১৭/১, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফোন : ০১৭১২-২৮৫৩৭২

 


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল