মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় সাদেক হোসেন খোকা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
সাদেক হোসেন খোকার তৃতীয় নামাজে জানাজা হয় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এই জানাজায় হাজারো মানুষের স্রোতই বলে দিয়েছে, কতটা জনপ্রিয় ছিলেন ঢাকার সাবেক এই মেয়র। গেরিলা এই মুক্তিযোদ্ধা পৃথিবীর সব শিকল মুক্ত হয়ে মা-বাবার কবরের পাশে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শায়িত হয়েছেন চিরনিন্দ্রায়। ভালোবাসার শত চোখকে কাঁদিয়ে নিয়েছেন চিরবিদায়।
জীবনের শেষ দিনগুলো মাতৃভূমিতে কাটাতে চেয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। কিন্তু তার সেই ইচ্ছা বলি হয়েছে অনেকটা রাজনৈতিক কারণেই। মৃত্যুর চার দিন পর গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় নিথর শরীরে নিউ ইয়র্ক থেকে বাক্সবন্দী হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
বিমানবন্দরে সাদেক হোসেন খোকার কফিন বুঝে নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। খোকার স্ত্রী ইসমত হোসেন, ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেকও এসেছেন পরম আত্মীয়ের কফিনের সাথে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে খোকার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও এলডিপির সিনিয়র নেতাকর্মী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
সংসদ চত্বরে জানাজায় অংশ নিতে এসে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে খোকার অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ব্যক্তিজীবনে তিনি চমৎকার মানুষ ছিলেন। বিনয়ী ও মার্জিত আচরণের ব্যক্তি ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে আমাদের প্রত্যেকের ত্রুটি রয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা মানুষ হিসেবে ছিলেন অমায়িক ও ভদ্র।
জানাজার পর বিভিন্ন দলের নেতারা খোকার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরিবারের পক্ষে খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, সব দলের নেতাকর্মীরা আমার বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন, এতে প্রমাণ হয় তিনি সার্বজনীন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট তিনি পাননি। এটি তার জীবনের আক্ষেপ ছিল। তিনি বাংলাদেশে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেননি।
জানাজা শেষে বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা খোকার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে মেয়র আতিকুল ইসলাম, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ, বিএনপির সংসদ সদস্যরা দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় আরো অংশ নেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপি সিনিয়র নেতা আবদুল মঈন খান, মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবদীন ফারুক, মো: শাহজাদা মিয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, হাজী সেলিম, আ স ম ফিরোজ, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাদেক হোসেন খোকার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। এতে শরিক হন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, মো: শাহজাহান, বরকতুল্লাহ বুলু, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহসিনা রুশদির লুনা, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, কামরুজ্জামান রতন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, শিরিন সুলতানা, কাজী আবুল বাশার, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও এম এ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মোর্শেদ হাসান খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএফইউজের রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের কাদের গণি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদ, আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের ড. মামুন আহমেদ, স্বাধীনতা ফোরামের আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ইলিয়াস হোসেন, জাগপার আসাদুর রহমান খান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, ছড়াকার আবু সালেহ, ডাকসুর ভিপি নূরুল নূরু, এলডিপির ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির মনজুর হোসেন ঈসা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ফকির আলমগীর, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ যুব সমিতি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জেটেব, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, জিয়া পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারো মানুষ। শহীদ মিনারে সাদেক হোসেন খোকাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিদায়ী স্যালুট জানান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবার জন্য দোয়া কামনা করে বক্তব্য রাখেন ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। তিনি হানাহানি করার জন্য তো দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ করেননি। এই রাজনীতির চর্চা কত দিন চলবে? প্রধানমন্ত্রীকে বলবÑ আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করুন। সরাসরি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলুন। আপনার আশপাশের স্বার্থবাদীদের বাদ দিন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আবারো বাবার জন্য দোয়া কামনা করেন ইশরাক।
নয়াপল্টনের জানাজায় মানুষের ঢল : বাদ জোহর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাদেক হোসেন খোকার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতাকর্মীরা। প্রথমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মরহুম নেতার কফিনটি দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলের পক্ষ থেকে কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দেয়া হয়। কালো কাপড়ে মোড়া অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয় খোকার কফিন। নেতাকর্মীদের কফিনের সামনে কাঁদতে দেখা যায়। বিএনপি মহাসচিবসহ নেতারাও অশ্রুসজল ছিলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবার প্রিয় নেতা সাদেক হোসেন খোকা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এমন এক সময় চলে গেলেন যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তিনি তাকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না। আজকে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনে সারা দেশের মানুষ যখন অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত; সেই সময়ে যে মানুষগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা তার অন্যতম। দলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বাবার আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া চান। এর আগে কার্যালয়ের সামনে খোকার বিশাল জানাজায় ইমামতি করেন উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক। এরপর তার কফিনে স্যালুট জানায় সেক্টার কমান্ডার শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সকাল ৮টা থেকে নয়াপল্টনের অফিসের নিচতলায় কুরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসহ দলের ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ২০ দলীয় জোটের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সেক্রেটারি জেনারেল কাজী আবুল খায়ের, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বিএনপির নেতা খন্দকার মাশুকুর রহমান, এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ডা: সালাহউদ্দিন মোল্লা, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ গোলাম আসগর, মওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, আজিজুল হক, মনির হোসেনসহ অনেকে জানাজায় অংশ নেন।
নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত সড়ক ও তার আশপাশের গলিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক এই জানাজায় দাঁড়ান। পুরো পল্টন রোড কানায় কানায় ছিল পূর্ণ। এ সময় ফুটপাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরাও মাথা নিচু করে খোকাকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়।
বিএনপির কার্যালয় থেকে কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে। সেখান জানাজা শেষে এরপর সাদেক হোসেন খোকাকে নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় খেলা ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নে। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কফিন গোপীবাগে পৈতৃক বাসভবন আত্মীয়স্বজনদের দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আত্মীয়স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এরপর বাদ আসর ধূপখোলা মাঠে সর্বশেষ জানাজা হয়। এই জানাজায় বিপুল মানুষ অংশ নেন।
সন্ধ্যায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন : খোকার লাশ কবরে নামানোর আগে ক্র্যাক প্লাটুনের এই গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পুলিশের ১৭ সদস্যের একটি চৌকস দল ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। তারা এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানান। এ সময়ে পুলিশের এডিসি নাজমুর নাহারসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুরাইনের পুরনো কবর স্থানে দাফন করা হয় সাদেক হোসেন খোকাকে। এই কবরস্থানের সামনের অংশে তার মা সালেহা খাতুন ও বাবা এম এ করীমের কবর রথয়েছে।
এ সময়ে মরহুমের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
এ দিকে এক বিবৃতিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা