৭১ ভেড়ার বিনিময়ে স্ত্রীকে দেয়া হলো প্রেমিকের হাতে!

৭১টি ভেড়ার বিনিময়ে স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন এক যুবক! ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গোরক্ষপুরের চারপানি গ্রামের ঘটনা এটি। শ্বশুরবাড়ি এলাকারই এক যুবক উমেশের সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সীমা পাল নামে এক বিবাহিতা তরুণীর। গত ২২ জুলাই স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান সীমা। হানিমুন সেরে পাকাপাকিভাবে উমেশের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় চারপানি গ্রামে। ঘটনার সুবিচার চেয়ে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানান সীমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিষয়টি সমাধানের জন্য সালিশির আয়োজনও করা হয়। সেই সালিশিতে ডাকা হয় সীমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তার প্রেমিক উমেশের পরিবারকেও। বিষয়টির কী সমাধান বা রায় দেন পঞ্চায়েত প্রধান, তা নিয়ে গ্রামের সবাই উদগ্রীব ছিলেন। অন্য দিকে, কোনো ভয়ানক রায় দেয়া হতে পারে এমন আতঙ্কে ছিলেন সীমা ও উমেশ। কিন্তুপঞ্চায়েত প্রধান সব শুনে যা রায় দিলেন তাতে সবাই হতবাক হয়ে যান। চমকের আরো বাকি ছিল, কোনো ওজর-আপত্তি না করেই সেই রায় খুশি মনে মেনেও নেন উমেশ এবং সীমার স্বামী রাজেশ পালও।
কী রায় দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান?
পঞ্চায়েত প্রধান উমেশকে বলেন, সীমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে পাকাপাকিভাবে রাখা যাবে একটা শর্তেই। সেই শর্তটা হলো, সীমাকে পেতে হলে তার স্বামী রাজেশকে ৭১টি ভেড়া দিতে হবে উমেশকে। ১৪২টি ভেড়া রয়েছে উমেশের। তার মধ্যে থেকে ৭১টি রাজেশের হাতে তুলে দেন উমেশ এবং সীমাকে নিয়ে পাকাপাকিভাবে সংসার পাতার রাস্তাও পরিষ্কার করে ফেলেন।
প্রেমিকার জন্য ছেলের এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য মেনে নিতে পারেননি উমেশের বাবা রামনরেশ পাল। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। রাজেশের বিরুদ্ধে ভেড়া চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। রামনরেশ বলেন, ছেলে কার সাথে থাকবে সেটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।
শুধু ভেড়াগুলো ফেরত চাই। যদিও রাজেশ পাল্টা বলেন, ভেড়া তো আমি চুরি করিনি! আমার স্ত্রীকে দিয়েছি, পরিবর্তে ভেড়া পেয়েছি।