২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেক্সিকোর সমর্থকদের লাফালাফিতেই হয়েছিলো ভূমিকম্প

জার্মানির বিরুদ্ধে জয়ের পর মেক্সিকোর সমর্থকদের উল্লাস - ছবি : সংগ্রহ

মেক্সিকোর খেলোয়াড় হার্ভিং লোজানো যখন বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মানির বিরুদ্ধে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন, ওই দলের সমর্থকরা তখন তাদের আনন্দ উল্লাস ধরে রাখতে পারেনি। খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় বলটি যখন নেট স্পর্শ করে তখন ফুটবলপ্রেমীরা এমনভাবে লাফাতে শুরু করলো যে তাদের পদভারে কেঁপে উঠলো মেক্সিকোর মাটি।

দেশটির কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে এও বলা হলো, সমর্থকদের লাফালাফিতে দেশটিতে মৃদু ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আসলেই কি এরকম হতে পারে? দেশটিতে ভূমিকম্প নিয়ে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা, মনিটর ও জরিপ পরিচালনা করে, সেই ইন্সটিটিউট অফ জিওলজিক্যাল এন্ড এটমোসফেরিক ইনভেস্টিগেশন বলছে, সেসময় আসলেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির এক টুইট বার্তায় এরকমটাই দাবি করা হয়েছে: ‘রাশিয়ায় জার্মানির বিরুদ্ধে মেক্সিকোর গোল করার পর উল্লাসের কারণে মেক্সিকো সিটিতে কৃত্রিম ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে।’

আসলে কী ঘটেছিল
ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে গোল হওয়ার পর মেক্সিকোর সমর্থকরা যখন উল্লাস করতে শুরু করে তখন স্থানীয়ভাবে তাদের দুটো সিসমোমিটারে ভূকম্পনের মাত্রা ধরা পড়তে শুরু করে। এই ইন্সটিটিউটের ব্লগে বলা হয়: ‘খেলার ৩৫ মিনিট সাত সেকেন্ডের সময় মেক্সিকো একটি গোল দেয়, তখন আমাদের মনিটিরং সিস্টেমে ভূকম্পনের একটি মাত্রা ধরা পড়ে। এই কম্পনের ত্বরণ ছিল ৩৭মি/এস২ যা মেক্সিকো সিটির ভেতরে কমপক্ষে দুটো সেন্সরে ধরা পড়ে। বড় ধরনের উল্লাসের কারণেই সম্ভবত এই কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে।’

তবে ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘এধরনের কম্পন খুব একটা বড় ঘটনা নয়।’ তারা বলছেন, সমবেত সমর্থকরা যেখানে উল্লাস করছিল তার খুব কাছে অবস্থিত অত্যন্ত স্পর্শকাতর এসব যন্ত্রে এই কম্পন ধরা পড়ে। যেসব জায়গায় ফুটবল ভক্তরা জড়ো হয়েছিল তার একটি রাজধানী মেক্সিকো সিটির এঞ্জেল অফ ইন্ডিপেন্ডেস ভাস্কর্য চত্বর যার খুব কাছেই আছে একটি সিসমোমিটার। এই যন্ত্রটিতেই সেসময়কার ভূকম্পনের মাত্রা ফুটে ওঠে।

এটা কি ভূমিকম্প ছিল
ইন্সটিটিউট অফ জিওলজিক্যাল এন্ড এটমোসফেরিক ইনভেস্টিগেশনের ব্লগে এটা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে এই কম্পন এতোটাই মৃদু যে তার সাধারণ লোকজনের পক্ষে অনুভব করা বা বুঝতে পারা সম্ভব নয়। ‘এই ঘটনা কোন মাত্রা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। সেকারণে এটিকে ভূমিকম্প বলা যাবে না। যদি এটাকে ভূমিকম্প বলতে হয় তাহলে এর সাথে 'কৃত্রিম' শব্দটিও জুড়ে দিতে হবে। এটা যে ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি সেটা পরিষ্কার করে দিতে হবে।’

এরকম আগেও ঘটেছিল
১৯৮৮ সালে আমেরিকান এক ফুটবল টুর্নামেন্টের সময় এমনটি ঘটেছিলো। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি ও অবার্নের ম্যাচের সময় লুইজিয়ানা যখন খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে তখন টাইগার স্টেডিয়ামে এরকম ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগে স্থাপিত সিসমোমিটারে ধরা পড়েছিল এই ভূকম্পন। এরপর থেকে ওই ম্যাচটি পরিচিত হয়ে ওঠে ‘ভূমিকম্পের খেলা' হিসেবে। ২০১৬ সালে নরিচের বিরুদ্ধে যখন লেস্টার সিটি শেষ মুহূর্তে গোল করে তখনও ইংল্যান্ডের মাটিতে এরকম কম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী

সকল