২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফ্রান্সের মুসলিম সংস্থা মামলা করল ফেসবুক, ইউটিউবের বিরুদ্ধে

- ছবি : সংগৃহীত

ফ্রান্সে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান একটি সংস্থা ফেসবুক, ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করার পদক্ষেপ নিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটো মসজিদে হামলার ভিডিও ফুটেজ চলতে দিয়ে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগে এ মামলা করছে দ্য ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)। 

ফেসবুক, ইউটিউবের ভিডিও ফুটেজ সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করেছে এবং মানবজাতির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে ফেসবুক কিংবা ইউটিউব এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। গত ১৫ মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটো মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী অস্ট্রেলীয় তার বন্দুক হামলায় ৫০ জনকে হত্যার দৃশ্যের লাইভ সম্প্রচার করেছিল ফেসবুকে। ১৭ মিনিটের সে ফুটেজ দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুক বলেছে তারা এ ফুটেজের হাজার হাজার কপি সরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কিন্তু হামলার কয়েক ঘণ্টা পরও ফুটেজটি ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে পাওয়া গেছে।

ফুটেজটি দেখা গেছে ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপেও। মুসলিম সংস্থা সিএফসিএম-এর ইসলামবিদ্বেষ তদারককারী ইউনিটের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ জাকরি বলেছেন, ফ্রান্সে তাদের সংগঠন এরই মধ্যে ইউটিউব ও ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে শুরু করেছে। ফুটেজটি নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব দুটো কোম্পানিই ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে।

আরো পড়ুন :  ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হত্যাকাণ্ডে ফেসবুক-টুইটার কি অংশিদার!
আরব নিউজ, ১৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডের লাইভ সম্প্রচার হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এ ঘটনায় ৪৯ জন মুসল্লিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলাকারীদের একজন তার হেলমেটে থাকা ভিডিওর মাধ্যমে ১৭ মিনিট ধরে ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করে। অন্য দিকে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে হামলার যৌক্তিকতা প্রচার করা হয়। বিশ্বের শত শত কোটি ব্যবহারী এসব যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে।

পরে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম থেকে এই ভিডিওগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য সোস্যাল মিডিয়ার এই প্লাটফরমগুলো চেষ্টা চালায়; কিন্তু তার পর তা সামাজিক অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এ হামলাকে নজিরবিহীন ও ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। এ ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী ‘নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলোর একটি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

টুইটারের একজন মুখপাত্র আরব নিউজকে বলেন, যে অ্যাকাউন্ট থেকে গুলির ঘটনা লাইভ হয়েছে সেটি এবং অপর অ্যাকাউন্ট থেকে এ হামলার যৌক্তিকতা প্রচার করা হয়েছে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। দু’টি অ্যাকাউন্টই কঠোর টুইটার নীতি লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় টুইটারের একটি জরুরি টিম জরুরি পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য কঠোর প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে। আমরা তদন্তের সাথে সাথে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব।’

অপর এক বিবৃতিতে ফেসবুক বলেছে, লাইভ ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে। এ জন্য ব্যাপক ‘প্রশংসা ও সমর্থন’ পাওয়া গেছে। লাইভ ভিডিওটি ছিল একটি হিংস্র হুমকি। নিউজিল্যান্ডের ফেসবুক প্রতিনিধি মিয়া গার্লিক বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড পুলিশ লাইভ স্ট্রিম শুরু হওয়ার পরেই আমাদের সতর্ক করেছিল। আমরা শুটারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ভিডিও উভয়কে অতি দ্রুততার সাথে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ড পুলিশের সাথে সরাসরি কাজ করছি। আমাদের হৃদয় এই ভয়ঙ্কর হামলার শিকার ব্যক্তি, তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্য নিবেদিত। 

ইউটিউব তাদের টুইটারে তাদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে বলেছে, ‘নিউজিল্যান্ডের এই ভয়ানক ঘটনায় আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল