২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলায় ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমান মোতায়েন করবে রাশিয়া

- ছবি : সংগৃহীত

ক্রিমিয়া উপদ্বীপে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। রুমানিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। রুশ পার্লামেন্টের একজন সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা রিয়া নিউজ এজেন্সি সোমবার এ তথা জানায়।

রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সভাপতি ভিক্টর বোন্দারেভ জানান, ক্রিমিয়ার ভারদিস্কোই বিমান ঘাঁটিতে তোপোলেভ টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হবে।

গত সোমবার মস্কোয় এক অনুষ্ঠানে ভিক্টর বলেন, রুমানিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্যই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, রাশিয়ার এ পদক্ষেপের ফলে এ অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্যে আমূল পরিবর্তন আসবে।

ক্রিমিয়ায় মোতায়েন হতে যাওয়া এসব বিমানের ব্যাপারে তিনি বলেন, কৌশলগত এসব বোমারু বিমান ইউরোপের যে কোনো স্থানে থাকা আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। তখন থেকেই দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উত্তেজনার মধ্যেই গত বছরের ডিসেম্বরে ক্রিমিয়ায় রুশ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রাশিয়া। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে অঞ্চলটিতে পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। সূত্র: ডেইলি সাবাহ

আরো পড়ুন : সমস্যা কোথায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের?
বিবিসি,  ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:০২

আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রাশিয়া ইউক্রেনের নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ আটকের পর দু'দেশের মধ্যে এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙ্গর করেছিলো ইউক্রেনের ওই তিনটি জাহাজ।

জাহাজটি আটকের সময় রাশিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে জাহাজের ছয়জন ক্রু আহত হয়।

আসলে কী হয়েছিলো ?

সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মাঝামাঝি এলাকায় নৌপথে যা কের্চ স্ট্রেইট বা কের্চ প্রণালী নামে পরিচিত। রোববার সকালে ইউক্রেনের দুটি গানবোট এবং একটি টাগবোট কের্চ প্রণালী অতিক্রমের চেষ্টা করে।

কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে রওয়ানা হয়ে আজোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো জাহাজগুলো। মস্কো ও কিয়েভের ২০০৩ সালের চুক্তির আওতায় কের্চ প্রণালী ও আজোভ সাগরে দুইদেশেরই অংশীদারিত্ব আছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নৌপথে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে দেশটি থেকে থেকে আসা ও যাওয়ার পথে সব নৌযান তল্লাশি শুরু করে।

একই সাথে আজোভ সাগরে যাওয়ার পথে রাশিয়ার তৈরি একটি ব্রিজের নীচে ট্যাংকারও মোতায়েন করে রাশিয়া। সাথে আছে দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি হেলিকপ্টার।

ইউক্রেনের নৌবাহিনী বলছে, তাদের জাহাজকে আঘাত করে অকার্যকর করা হয়েছে বলেই তারা ওই এলাকা ত্যাগ করতে পারেনি। এসব জাহাজে ২৩ জন নাবিক ছিলো যাদের মধ্যে ছয় জন আহত হন বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।

এ ঘটনার গুরুত্ব কতটা বা কতটা মারাত্মক ঘটনা এটি?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথম এমন দ্বন্দ্বে জড়ালো রাশিয়া ও ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।

এর মধ্যেই সামরিক আইন জারির বিষয়ে ব্যতিক্রমী এক অধিবেশনে বসার কথা রয়েছে ইউক্রেনের পার্লামেন্টের। ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশটিতে সামরিক আইন জারির বিষয়ে এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। আর এই আদেশ কার্যকর করতে পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। আর সে লক্ষ্যেই এক ব্যতিক্রমী অধিবেশনে বসছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট।

অন্যদিকে সামরিক বাহিনীকেও সম্পূর্ণ যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণ যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে রাখার মানে এই নয় যে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দুইপক্ষ দায়িত্ব এড়াচ্ছে কীভাবে?

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া তাদের নৌবাহিনীর জাহাজ মারিউপোলের দিকে এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে এবং তাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সশস্ত্র আগ্রাসনের আরেকটি দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে 'পূর্ব পরিকল্পিত উস্কানি'র পাল্টা অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া।

মনে হচ্ছে সামরিক আইন জারি আর সাম্প্রতিক পদক্ষেপের মূলে রয়েছে আসলে আগামী মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করা।

মার্শাল ল জারি হলে সরকারের হাতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ কিংবা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা আসবে।

প্রতিক্রিয়া কেমন হচ্ছে?

ঘটনার দিন রোববারই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়া দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে এবং দূতাবাসের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কের্চ প্রণালীতে যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত করতে রাশিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষকেই সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদিও ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, কের্চ প্রণালীতে ব্রিজ নির্মাণে রাশিয়া যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

অন্যদিকে এই ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সোমবারই জরুরি সভায় বসার কথা রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্কে কতটা উত্তেজনা বিরাজ করছে?

চরম উত্তেজনা। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের একমাস পর ডোনেৎস্ক ও লুহান্সকের পূর্বাঞ্চলে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষ।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে ইউক্রেন। অবশ্য মস্কো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যদিও স্বীকার করেছে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে।

গত মার্চে ক্রিমিয়া থেকে একটি মাছ ধরার নৌযান ইউক্রেন আটক করে এবং এরপরই কের্চ প্রণালীতে রাশিয়া জাহাজে তল্লাশি করা শুরু করে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, রাশিয়ার বাধা-নিষেধের প্রভাব পড়ছে তার দেশের অর্থনীতিতে।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, মারিউপোল থেকে লোহা ও স্টিল উৎপাদন তার দেশের রপ্তানির ২৫ ভাগ চাহিদা মেটায়। আর ইউক্রেনের উত্তর উপকূলের দুটি বন্দর বার্ডিয়ানস্ক ও মারিউপোল কয়লা আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল