২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিবিএসের প্রতিবেদন

এনজিওর জালে গ্রামের মানুষ

- ফাইল ছবি

গ্রামে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থাকলেও তারা জনগণের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। ফলে সেখানকার মানুষের ঋণ পাওয়ার অন্যতম উৎস এনজিওগুলো। পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৬৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ খানা এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এদের মধ্যে ৬২.১৫ শতাংশই নিচ্ছে ফসল আবাদে, ১২.৩৩ শতাংশ নিচ্ছে বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এ পরিসংখ্যান।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে গতকাল ‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮’ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআইডির অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস। বক্তব্য রাখেন এসআইডির অতিরিক্ত সচিব বেগম মাহমুদা আক্তার ও কৃষি উইংয়ের পরিচালক জাফর আহমেদ খান। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন খান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও সেগুলো জনগণের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারায় ঋণ প্রদানে এনজিওর প্রাধান্য বিদ্যমান। বেশির ভাগ মানুষই ফসল উৎপাদনের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। ৭০ শতাংশ মানুষের পেশা অকৃষি হলে সেই এলাকাকে শহর এলাকা বলা হয়। এখনো ডিপটিউবওয়েল পল্লীতে ব্যবহার হচ্ছে, যা আগামীতে দেশের জন্য হুমকি।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ লোক এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, মহাজনদের নিকট থেকে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং আত্মীয়স্বজন থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ। এ ঋণ নেয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ফসল আবাদ। পল্লী এলাকার মানুষদের ৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ ঋণ নেয় ফসল আবাদের জন্য।

এছাড়া পশুপালনের জন্য ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চিকিৎসার জন্য ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ, শিক্ষার জন্য ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিয়ের জন্য ৪ দশমিক ১১ শতাংশ এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ নেয় ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ মানুষ।

জরিপে বলা হয়েছে, ৪ কোটি ৭০ লাখ ১৯ হাজার ৭২ জন কর্মরত জনসংখ্যার মধ্যে কৃষিতে কর্মরত ২ কোটি ৪৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন। এদের মধ্যে কৃষি শ্রমিক ৭২ লাখ ৯১ হাজার ৮৪০ জন। গড়ে একজন কৃষিশ্রমিক সপ্তাহে ৫.০২ দিন এবং দিনে ৭.৭৬ ঘণ্টা কাজ করে। গড়ে সে প্রতিদিন ৩৮৬ টাকা মজুরি পায়।

বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন খান বলেন, পল্লী এলাকার এক একটি পরিবার বার্ষিক আয় করে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আসে ৭৭ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং অকৃষি খাত থেকে আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৭ টাকা। এলাকায় মোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ জন বসবাস করে। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন, মহিলা ৫ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৮০৩ জন এবং হিজড়া ২২ হাজার ৭২০ জন।

জরিপ তথ্যানুযায়ী, পল্লীতে স্যানিটারি সুবিধা আছে ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ৩২১ জনের। কূপ বা ইদারা ব্যবহার করছে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৩ জন, কাঁচা পায়খানা ব্যবহার করে ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯ জন এবং খোলা জায়গায় পায়খানা করে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৯০ জন।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী

সকল