২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব মিয়ানমারকেই নিতে হবে : পম্পেও

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব মিয়ানমারকেই নিতে হবে : পম্পেও - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে যে কোন ধরণের ভয়ভীতি ও নিপীড়ন ছাড়াই নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব মিয়ানমারকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া মিয়ানমার সরকার ও সেনা বাহিনীর দায়িত্ব। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মাইক পম্পেও’র সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের বৈঠককালে তিনি একথা বলেন। আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়।

বৈঠককালে পম্পেও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আরো পড়ুন : রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত : জাতিসঙ্ঘের ক্ষোভ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক ০৩ এপ্রিল ২০১৯

রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো অব্যাহত রাখার ভারতীয় সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, নির্যাতন, খারাপ আচরণ বা অন্য কোনো ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে, এমন কাউকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা আক্রমণ, প্রতিহিংসা ও নিপীড়নের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জেনেভা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, পিতা ও সন্তানসহ আরো তিন রোহিঙ্গাকে ভারত সরকার জোর করে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি নিন্দনীয়। এই তিন রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাসের দায়ে ২০১৩ সাল থেকে ভারতীয় কারাগারে আটক রয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি এই পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যকে আলাদা করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শরণার্থী হিসেবে কারো অবস্থান নির্ধারণে ভারতের আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এটি ভারতে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগকে প্রতিষ্ঠা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতে রোহিঙ্গাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখার পদ্ধতি গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এটি উদ্বাস্তুদের প্রতি আশ্রয় প্রার্থনাকারী দেশের অগ্রহণযোগ্য বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতার পরিচায়ক। জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা তাদের উদ্বেগের কথা ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়


আরো সংবাদ



premium cement