২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


জলদস্যুরা কেন আত্মসমর্পণ করছে?

অপরাধ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করছে একজন জলদস্যু। (ফাইল ছবি) - ছবি : বিবিসি

কক্সবাজার উপকূলের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপের কয়েকটি দস্যু বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য শনিবার আত্মসমর্পণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।

এই দস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকীম।

মহেশখালীর আগে সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি দস্যুদলকেও তার মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মি. হাকীম।

কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা এই দস্যুদের আত্মসমর্পণে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন মি. হাকীম? কী শর্তে আত্মসমর্পণ করলো এই দস্যুরা?

কীভাবে আত্মসমর্পণে রাজি হলো দস্যুরা?
মি. মোহসীন-উল-হাকীম বলেন, ‘এই আত্মসমর্পণ হয়েছে কোনো শর্ত ছাড়া।’

মি. হাকীম জানান, ‘একটি কথা বলেই মূলত দস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে রাজি করানো হয়েছে - সেটি হলো, তারা ঘরে ফিরতে পারবে।’

দস্যুদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোর আইনি কার্যক্রম তারা বাড়িতে থেকে সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানান মোহসীন-উল-হাকীম।

‘পাশাপাশি সুন্দরবনের দস্যুরা আত্মসমর্পণ করার পর সাধারণ জীবনে ফিরে আসার যে উদাহরণটি তারা দেখেছে গত ৩-৪ বছরে, তা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে’, বলেন মি. হাকীম।

বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দস্যু-বাহিনী গত কয়েক বছরে সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকীমের মধ্যস্থতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

মি. হাকীম বলেন, ‘যখন সুন্দরবন নিয়ে কাজ করি, তখন দেখি দস্যুতাটা আসলে পুরো উপকূল ধরেই।’

তিনি বলেন, সুন্দরবনের দস্যুদের সাথে কাজ করতে করতেই মহেশখালীর মানুষের সাথে পরিচয় হয় তার।

‘সুন্দরবনটা দেখেই তারা আমাকে আস্থায় নিয়েছে, এবং আমার মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।’

এই দস্যুদের ভবিষ্যত কী?
মি. হাকীম জানান, আত্মসমর্পণ করার পর সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করা হবে।

‘আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতাও করা হবে।’

এছাড়াও মি. হাকীম জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজের তহবিল থেকে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন এবং দস্যুদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।

মহেশখালি অঞ্চলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সরকার বড় ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

মি. হাকীম জানান, সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সরকারও ওই এলাকাকে দস্যুমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং দস্যুরাও ঐ অঞ্চলে দস্যুবৃত্তি ত্যাগ করার কথা চিন্তা করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত ড. মনিরুলের নারীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধির রাইসির স্মরণে জাতিসঙ্ঘে এক মিনিট নীরবতা পালন ইরানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বড় ভাই বিপিএলে, ছোট ভাই বিসিএলে নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ ধ্বংস করতে ফার্মা সল্যুশনসকে হাইকোর্টের নির্দেশ চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পায়েল বহিষ্কার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার ‘বাবে কাবা’ নামের উপহারের দামি কলমটি তোষাখানায় দিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি লোকসভা ভোট : রেকর্ড করল কাশ্মীরের বারামুলা বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে : শিল্পমন্ত্রী

সকল