ঝালকাঠির নলছিছিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে ডায়রিয়া রমজানের শুরু থেকে শতাধিক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা নিয়েছে আরো শতাধিক আক্রান্তরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, বেসরকারি ক্লিনিক ও প্রাইভেট চিকিৎসকের কক্ষে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের অভাবে গরিব পরিবারের রোগীরা বিপাকে পড়ছেন। বাইরের দোকান থেকে তাদের ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে।
শনিবার নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী লাইজু (১৯), জহির উদ্দিন (৪৫), মোর্শেদা বেগম (৫০), শাহিনুর বেগম (৩২) লিমন (৭), কহিনুর বেগম (৪০), ইছাহাক (৫০) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবার স্যালাইন ও ট্যাবলেট ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয় না। তারা স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে কিনে ওষুধ খাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ওষুধ আইভি স্যালাইন নেই হাসপাতালে।
নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আওছাফুল ইসলাম রাসেল জানান, রমজানের শুরু থেকে প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় অন্যতম কারণ হচ্ছে ভেজাল খাবার। একদিকে তীব্র গরম পড়ছে, অন্যদিকে ভেজাল খাবার খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। হাসপাতালে আইভি স্যালাইন সংকট রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ১২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে কারো অবস্থা খারাপ দেখলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ডায়রিয়ায় ওয়ার্ডের অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় রোগী সামাল দেয়া কষ্টকর হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা