নুসরাত হত্যাকাণ্ড : এডিএম এনামুলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৫:৩২
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ছাত্রী নূসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগের ঘটনায় গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জন প্রশাসন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল বাশার।
পরে এবিএম আব্দুল্লাহ আল বাশার ও ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, নূসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগের ঘটনায় গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন ও শিক্ষা সচিব এ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিবেন।
একইসঙ্গে তার নিষ্ক্রিয়তায় চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ফেনীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী থানার ওসি।
একটি জাতীয় দৈনিকের ২১ জুন “এডিএম এনামুলের ভূমিকা, পুলিশের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রণালয়ের“ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়- পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি, তার কার্যপরিধি এবং তদন্ত কমিটি এডিএমের ব্যাপারে তদন্ত করেছে কি-না, করে থাকলে কোন এখতিয়ারবলে করেছে, তা স্পষ্ট করতে হবে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা