২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন ফেনীর সেই প্রধান শিক্ষক

ছাত্রীকে ধর্ষণ
ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন ফেনীর সেই প্রধান শিক্ষক - ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর দাগনভূঞায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুল করিম।

মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার ওই শিক্ষককে দুই দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন জানান, তাকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে দাগনভূঞা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, নিজ কক্ষেই স্কুল সময়ের আগে-পরে ওই ছাত্রীকে তিনি একাধিক সময় আটকে রাখতেন। তাকে বিভিন্ন প্রলোভনে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছেন তিনি। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি বিষয়টি আপসরফারও চেষ্টা চালান।

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বড় বোন বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ মো: আবদুল করিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এর আগে গত রোববার একই আদালতে ২২ ধারায় ওই ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ফেনী সদর হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আরো পড়ুন :
৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ শিক্ষকের
মো: জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী), ১২ জানুয়ারি ২০১৯
নীলফমারীর সৈয়দপুরে স্কুলকক্ষে ৫ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম। অভিযুক্ত শিক্ষক কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাড়ী শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: জাহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ডাঙ্গীবাড়ী গ্রামে।

নির্যাতিত ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম জানান, আমার মেয়ে বাড়ির পাশের শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। বুধবার সকালে সে অন্যান্য দিনের মতো স্কুলে যায়। দুপুরের দিকে আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে আমাকে জানায়, জাহিদুল মাস্টার আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে অনেক বোঝাবুঝির পড়ে মেয়ে আমাকে ঘটনা খুলে বলে।

বুধবার ৫ জন শিক্ষকের স্থলে হেড মাস্টারসহ অন্য দুজন শিক্ষক ছুটিতে থাকায় দুপর দেড়টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। এসময় মাঠে খেলতে থাকা ৫ শ্রেণীর ছাত্রীটিকে রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। আমি বৃহস্পতিবার হেডমাস্টারকে জানালে তিনি মীমাংসা করার কথা বলেন। আমি বিষয়টি এলাকার মেম্বার নুর নবীকে জানালে শনিবার সকালে শালিস মীমাংসা করার কথা বলে টালবাহান শুরু করেন। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মীমাংসা করার জন্য বার বার চাপ দিতে থাকেন। এবং আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিতে চাইলে আমাকে ভয় ভীতি দেখানো হয়।

এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এর আগেও সে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে গেছে। কিছু দিন আগে সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড মেম্বারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে ঘটনাটি বৃহ:বার মেয়েটির মা আমাকে জানিয়েছে।

কামারপুকুর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, ঘটনার ৪ দিন পর শনিবার দুপুর ১টার দিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: শাহজাহান মন্ডল জানান, ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনেছি। ছাত্রিটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযোগ পেলে ছাত্রীটিকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেয়া হবে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষককে নগ্ন করে হাঁটানো হলো রাস্তায়
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২২ আগস্ট ২০১৮
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে মারধরের পর নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটানো হলো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এলুরু শহরে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম রামবাবু। এলুরু শহরেরই একটি স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক তিনি। অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে এক ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছেন তিনি। সম্প্রতি ছাত্রীটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ছাত্রীটিকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান রামবাবু। পরিবারের দাবি, বিষয়টি বাড়িতে প্রথমে জানাতে চায়নি ছাত্রীটি। কিন্তু তার শারীরিক কিছু লক্ষণ ধরা পড়ার পর বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। চাপাচাপি করতেই বিষয়টি সামনে আসে।

এর পরই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন দলবল নিয়ে রামবাবুর বাড়িতে চড়াও হন। তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে প্রথমে চলে বেধড়ক মার। তার পর রামবাবুর পোশাক খুলিয়ে নগ্ন করে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটানো হয়। গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন কেউ কেউ।

হাঁটাতে হাঁটাতে রামবাবুকে সোজা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছতেই রামবাবুকে পোশাক দেয়া হয় লজ্জা নিবারণের জন্য। ছাত্রীটির পরিবার রামবাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। এর পরই গ্রেফতার করা হয় তাকে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী

সকল