২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তার

-

এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান চিরুনি অভিযানে ৫৩ শতাংশ বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। এডিস মশা নির্মূলে ২৫ আগস্ট ‘এডিস মশা ধ্বংসকরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ বা ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করে ডিএনসিসি। সংস্থাটি জানায়, কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার পর্যন্ত ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডের ৬৩ হাজার ২৭৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৩৭৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। আর ৩৩ হাজার ৫৬৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে, যা পরিদর্শন করা বাড়ি ও স্থাপনার ৫৩ শতাংশ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ না রাখতে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এ অভিযানের ফলাফল পর্যালোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে।
ডিএনসিসি জানায়, অভিযান চালিয়ে সিটি করপোরেশনের পরিদর্শক দল দেখতে পায়, অনেক আবাসিক ভবনে এডিস মশা বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ আছে। অনেক বাড়ির ছাদের পরিবেশ ছিল নোংরা। সেখানে পানি জমে থাকা মাটি ও প্লাস্টিকের পাত্র, বালতি, ড্রাম, অব্যবহৃত টায়ার ও কর্কশিট এবং আগাছার জঙ্গল, পরিত্যক্ত খোলা টিন ও কমোড পাওয়া যায়। নির্মাণাধীন ভবনের ভূগর্ভস্থ পানির সংরক্ষণাগার, ফেলে রাখা পাত্র, রঙের কৌটা, পাইপে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে।
চিরুনি অভিযানের পর ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশির ভাগ নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পাত্র ও জলাধারে পানি জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এগুলোতে মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মালিক থাকেন না। নিরাপত্তারক্ষী বা তত্ত্বাবধায়কেরা বাড়িগুলো দেখভাল করেন। তাদের দেখাশোনায় ঘাটতি আছে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, ২০ আগস্ট ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে চিরুনি অভিযান শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, পরিচ্ছন্নতা এবং এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে ডিএনসিসির প্রতিনিধিদল। পরীক্ষামূলক কর্মসূচিতে সাড়া পাওয়ায় ৩৬ ওয়ার্ডেই ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানের মধ্যে ২৭ আগস্ট সবচেয়ে বেশি স্থাপনা পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসির প্রতিনিধিদল। সেদিন ১১ হাজার ৪৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ছয় হাজার ৬৮৩টি স্থাপনাতেই এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। পরিদর্শক দল এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী জায়গাগুলো ধ্বংস করে বা পরিষ্কার করে দেয়। মাঠপর্যায়ে এ অভিযান তদারক করছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। ডিএনসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান বলেন, বাসার বিড়ালকে পানি খাওয়ানোর পাত্র ও মিটার বক্সের মতো জায়গাতে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। অভিযানে এডিস মশা জন্ম নেয়ার ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। আগের চেয়ে জনগণ এখন মশার প্রজননস্থল নিয়ে অনেক সচেতন। এটি ধরে রাখতে হবে।
অভিযানে কোনো স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে কীটনাশক দিয়ে লার্ভাগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। আর যে বাড়ি বা স্থাপনায় লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে লেখা স্টিকার লাগানো হচ্ছে। স সুমনা শারমিন


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল