২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় চলছে প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা

-

২০০৩ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আট হাজার ৯১টি সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন দিয়েছিল। এসব সিএনজি অটোরিকশার মেয়াদ ছিল ৯ বছর। সে হিসাবে ২০০২ ও ২০০৩ সালে নিবন্ধিত অটোরিকশার মেয়াদ যথাক্রমে ২০১১ সালে ও ২০১২ সালে শেষ হয়। তবে মালিকদের দাবিতে দুই দফায় এক বছর করে মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০১২ ও ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ধিত মেয়াদ শেষে ফের একই দাবি জানান মালিকেরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএনজি অটোরিকশার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ বছর। এ হিসাবে গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয় ২০০২ সালে নিবন্ধন পাওয়া সিএনজিগুলোর মেয়াদ। আর চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে ২০০৩ সালে নিবন্ধিত অটোরিকশার মেয়াদ। মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ধ্বংস (ডাম্প) করা হয়েছে ২০০২ সালে নিবন্ধিত সাড়ে পাঁচ হাজার বাহন। এর পরিবর্তে একই নিবন্ধন নম্বর নিয়ে ঢাকার রাস্তায় নেমেছে পাঁচ হাজার ১২৮টি নতুন সিএনজি অটোরিকশা।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হয়েছে পুরনো সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের কাজ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্ক্র্যাপ করা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ পাঁচ হাজার ৫৬১টি সিএনজি। এগুলোর বদলে মিরপুর ও ইকুরিয়া কার্যালয় থেকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ১২৮টি। নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছে ৪৩৩টি সিএনজি অটোরিকশা।
বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, ধ্বংসের আগে প্রতিটি সিএনজির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরীক্ষা করে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে রাখা হয়। এরপর চেসিস, ইঞ্জিন নম্বর ও নম্বর প্লেটগুলো গ্যাস কাটার দিয়ে মুছে ফেলে খালি ফ্রেমগুলো এক্সক্যাভেটর (বুলডোজার) দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা সিএনজিগুলোর নিবন্ধন নম্বর অপরিবর্তিত রেখেই নতুনগুলো নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশের রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশাগুলোর বেশির ভাগই ভারতের বাজাজ কোম্পানির। প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি এসব বাহনের মেয়াদ বা কার্যকাল নির্ধারণ করেছিল ৯ বছর। মেয়াদ পেরোলে এসব বাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, পরিবেশও দূষণ হয়।
বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) নুরুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘ দিন চলার ফলে অটোরিকশার ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমার পাশাপাশি বডি-ফ্রেমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে সিএনজি অটোরিকশাগুলোর প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
বিআরটিএ’র পরিচালক (রোড সেফটি) মাহবুব-ই-রব্বানি জানিয়েছেন, মেয়াদ শেষের পর থেকেই ২০০৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া সিএনজিগুলোর স্ক্র্যাপ কার্যক্রম শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে আগের নিয়ম অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ঢাকায় নতুন পাঁচ হাজারের পাশাপাশি চলাচল করছে ২০০৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া প্রায় আট হাজার অটোরিকশা। সব ঢাকা মহানগর থেকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। অন্য এলাকায় নিবন্ধন পাওয়া সিএনজি ঢাকায় চলার নিয়ম না থাকলেও প্রতিদিনই ঢাকা জেলা, পাশের নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ থেকে নিবন্ধন পাওয়া অসংখ্য সিএনজি ঢাকায় চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় মিটারবিহীন এসব অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার রাজপথে। ধানমন্ডি, রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, খিলগাঁও, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী, জুরাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে এসব বাহন। ব্যক্তিগত সিএনজিও ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিক কাজে। ষ নাঈমুল হাসান


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি

সকল